মুম্বই : বুধবার ভোর চারটের সময় বলিউডের বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর নীতিন চন্দ্রকান্ত দেশাইয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল মুম্বইয়ে তাঁর নিজেরই স্টুডিও থেকে। আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি চারবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
নিজের ‘এনডি স্টুডিও’তে মৃত অবস্থায় নীতিন দেসাইকে উদ্ধার করার খবর প্রকাশ্যে এলে শিল্পীমহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ শিউরে উঠেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে। সেই কারণে নীতিন আত্মহত্যা করেছে বলেও অনেকের ধারণা। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু নিশ্চিত করে বলে নি।
প্রাথমিকভাবে নীতিন এর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন ধরে অর্থকষ্টে ভুগছিলেন ‘দেবদাস’ খ্যাত এই বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর। তাই অনেকেরই ধারণা সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী নীতিন দেশের স্টুডিওতে একটি ভিডিও রেকর্ডিং পুলিশ খুঁজে পেয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আরো জানানো হয়েছে যে একটি সূত্র পুলিশকে জানিয়েছে যে এই শিল্প নির্দেশক আগে থেকেই সেদিন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিল। সূত্রের খবর মঙ্গলবার রাতে যে সিকিউরিটি ছিল তার থেকে সমস্ত চাবি নিয়েছিলেন তিনি এবং তার কর্মীদের বলেছিলেন যে তাকে স্টুডিওতে একা রেখে যেতে কারণ তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। প্রসঙ্গত, স্টুডিওর এক প্রত্যক্ষদর্শী ময়ূর ডংড়ে জানিয়েছেন, ‘নীতিন এনডি স্টোডিওর ভিতরে ৬ নম্বর সেটে গভীর রাত পর্যন্ত একটি বড় ধনুক এবং তীর তৈরির কাজ করছিলেন। এই কাজের জায়গাতেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
১৯৮৯ সালে বিটাউনে দিনের হাতেখড়ি হয়েছিল।তথ্য অনুসারে, নীতিন তাঁকে গেট পর্যন্ত ছাড়তে এসেছিলেন এবং বলেছিলেন পরের দিন সকাল ৮ টায় এসে রেকর্ডিং দেখতে, যা তিনি ১০ নম্বর স্টুডিওতে পাবেন। রেকর্ডিংয়ে, নিতিন উল্লেখ করেছেন যে তাঁর স্টুডিওগুলি যেন তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া না হয়। এবং তিনি তাঁর শেষ ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেছেন যে তাঁর শেষকৃত্য যেন স্টুডিও নং ১০ এ অনুষ্ঠিত হয়।
‘১৯৪২: এ লাভ স্টোরি’, ‘খমোশি’, ‘প্যায়ার তো হোনা হি থা’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘মিশন কাশ্মীর’ হয়ে একেবারে অধুনা ‘পানিপত’ পর্যন্ত কাজ করেছেন তিনি৷
‘বাবাসাহেব আম্বেদকর’ ছবিটির পাশাপাশি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘লগান’, ‘দেবদাস’ ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন নীতিন৷ ছবিও পরিচালনা করেছেন তিনি৷ ২০১১ সালে ‘হ্যালো, জয় হিন্দ’ নামে একটি ছবির নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি৷ অভিনয়ও করেছিলেন৷