মুম্বই: আরিয়ান খান মাদক কাণ্ডে এবার রাজনৈতিক মোড়। কর্ডেলিয়া ক্রুজের মাদক বিরোধী অভিযানের পেছনে বিতর্কিত বিজেপি নেতা মনীশ ভানুশালি জড়িত রয়েছেন বলে দাবি এনসিপির। বুধবার এমনটাই জানান এনসিপি মুখপাত্র নওয়াব মালিক। তারসঙ্গে কেপি গোসাভি নামের জনৈক ব্যক্তিগত গোয়েন্দাও ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মালিকের দাবি, মনীষ ভানুশালি মহারাষ্ট্র প্রদেশ বিজেপির সহ সভাপতি। এবং প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ঘনিষ্ট তিনি এছাড়াও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন মনীশ। বুধবার এমনটাই দাবি করেন এনসিপি মুখপাত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও মনীশের ছবি তুলে ধরেন তিনি। এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মালিক। এনসিবি’র হানা দেওয়ার সময় একজন বিজেপি নেতা কী করে ঘটনাস্থলে থাকেন সেই বিষয়টিকে নিয়ে জোর সওয়াল করেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপি বলিউডকে নানানভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ এনসিপির ।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় আরিয়ান সহ এনসিবি’র জালে ৮
ফড়নবীশের সঙ্গে মনীশ
সম্প্রতি গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনীশ গুজরাতে ছিলেন। তবে সেই মাদক উদ্ধার নিয়ে তিনি চুপ কেন? প্রশ্ন তোলেন মালিক। সেইসঙ্গে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হওয়া ‘এনসিবি আধিকারিক’এর পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মালিক। কারণ ইতিমধ্যেই এনসিবি’র তরফে জানানো হয়ে কেপি গোসাভি নামের কেউ তাঁদের সংস্থার সঙ্গে জড়িত নন। তারপরেই গোসাভি একজন ব্যক্তিগত গোয়েন্দা। যিনি মনীশের হয়ে কাজ করছিলেন বলে দাবি করা হয় এনসিপির তরফে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ মাদক মামলায় আরিয়ান খানের একদিনের এনসিবি হেফাজত
এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলিউডকে কাঠগড়ায় তোলে বিজেপি। মাদককাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে। মাদককাণ্ডে জড়িত থাকায় নাম ওঠে একাধিক বিশিষ্ট বলিউড তারকার। তারপরে বছর ঘুরতেই ফের সামনে এল আরিয়ান খান মাদক কাণ্ডের মতো ঘটনা।
এদিকে, মাদক কাণ্ডের অভিযুক্ত আরিয়ানকে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মাদক চক্রের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তাঁকে জেরা করছে এনসিবি কর্তারা।