মুম্বই : ২০১১ সালে ‘রকস্টার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরির। বলিউডে প্রায় দশ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত। ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’,হাউস ফুল থ্রি’, ‘টিসুম’ সহ আরো বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ছবিতে নার্গিসকে দেখা গেছে। হলিউডের বক্স অফিস সকল ছবির সংখ্যা খুব বেশি না হলেও এবার ওটিটিতে পা রাখতে চলেছেন এই অভিনেত্রী।
একসময় শরীরচর্চা নিয়ে ততটা সচেতন ছিলেন না নার্গিস। কিন্তু এখন অনেকটা সময় জিমেই কাটান। পর্দায় যেমন নার্গিসকে প্রাণবন্ত দেখায় তেমনি তার ফিটনেস ফ্রিক দর্শকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয়। সাইক্লিং, ট্রেডমিল থেকে শুরু করে লোহালক্কর নিয়েই জিমে অনেকটা সময় কাটাতে ভালবাসেন অভিনেত্রী।
ইন্ডাস্ট্রিতে ১০ বছর কেটে গেলেও অন্যান্য অভিনেত্রীদের তুলনায় নার্গিসের ছবির সংখ্যা অত্যন্ত কম। এর কারণ কি বক্স অফিসে তার ছবি তেমনভাবে সাড়া পায়নি বলে! অভিনেত্রী নিজে জানিয়েছেন,’ঠিক তেমনটা নয়; আসলে সব ধরনের চরিত্রে আমাকে মানায় না।’ নার্গিসের বক্তব্য সেই কারণেই মানানসই ছবিতেই নির্মাতারা তাঁকে ডাকেন।
ওটিটিতে কাজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে এই ধরনের প্লাটফর্মে কাজ করার ক্ষেত্রে তিনি নিজের জন্য একটা সীমারেখা তৈরি করেছিলেন।
ওটিটির কনটেন্টগুলো প্রায় সময়ই বিষয়বস্তুর জন্য জনপ্রিয়তা পেয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে গালিগালাজ, সহিংসা, নগ্নতা ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মে কিছু কাজের ক্ষেত্রে তাই তার নিজের সীমারেখা রয়েছে বলে জানান নার্গিস। অভিনেত্রী বললেন, ‘নগ্নতায় আমার আপত্তি রয়েছে। ছবিতে নগ্নতা থাকলে সেই দৃশ্যে অমি অভিনয় করব না।’ নার্গিস বলেন, ‘কোনো প্রজেক্টের জন্য আমি কখনোই নগ্ন হব না। নগ্নতায় আমার আপত্তি রয়েছে। তবে সাহসী চরিত্রের জন্য আমি সবসময়ই উন্মুক্ত।’
সাহসী চরিত্রে অভিনয়ের প্রসঙ্গে নার্গিসের জবাব, সমকামী বা অন্য ধরনের যৌন চাহিদা সম্পন্ন ছবিতে অভিনয় করতে তার কোনো আপত্তি নেই। সমকামী ছবির প্রসঙ্গে নার্গিস বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আজ সমাজে যথেষ্ট আলোচিত হচ্ছে।’ ফলে এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি ছবি হওয়া উচিত বলেই মনে করেন নার্গিস।