কলকাতা: ২১টা করে ম্যাচ খেলেছে দুই দলই। মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai ity FC) ৪৭ পয়েন্ট এবং মোহনবাগানের (Mohun Bagan SG) ৪৫। সমীকরণ একটাই, ম্যাচ জেতো এবং লিগ-শিল্ড জেতো। মুম্বইয়ের ড্র করলেই কেল্লা ফতে। ফলে কলকাতার ক্লাবের কাজ কঠিন। তবে সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yubabharati Krirangan) সবুজ-মেরুনের ১১ জনই শুধু খেলবেন না, দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে সমর্থকরাও তাঁদের ভূমিকা পালন করবেন।
কার্যত ফাইনাল হয়ে দাঁড়ানো এই ম্যাচে সমর্থকদের প্রবলভাবে প্রয়োজন বাগান ব্রিগেডের। যুবভারতীতে এখন দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৬০,০০০। তিনভাগের দুই ভাগ ভরলেই মাঠ অন্যরকম হয়ে উঠবে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২২,০০০ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। মাঠে দর্শক টানতে ক্লাবের তরফে টিকিটের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন এবং মোহনবাগান মাঠে ৫০ ও ১০০ টাকার টিকিট অফলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভালোই খেলছি, তাই ইচ্ছে আরও কয়েক বছর চালিয়ে যাওয়ার
শেষ তিন ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন না হেড কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস। দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সহকারী ম্যানুয়েল পেরেজ। তিনিই জানালেন, মিডফিল্ডার সাহাল আবদুল সামাদ দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন। তাঁকে সোমবার খেলানোর চেষ্টা করা হবে। কিন্তু হাবাসকে নিয়ে কোনও আপডেট এখনও নেই। মরসুমের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁকে মাঠে ভীষণ দরকার।
বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে শুক্রবার কলকাতায় ফিরেছে মোহনবাগান। আজ, শনিবার থেকেই পেত্রাতস, মনবীর, কাউকো, শুভাশিস নেমে পড়বেন অনুশীলনে। কোন অস্ত্রে মুম্বই-বধ করা যায়, চলবে তার হিসেবনিকেশ। প্রতিপক্ষ অ্যাডভান্টেজে সেকথা স্বীকার করছেন ম্যানুয়েল। তিনি বলেন, ‘‘আমরাই বেশি চাপে থাকব। কারণ, আমাদের জেতা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। মুম্বই ড্র করলেই লিগ-শিল্ড জিতবে।’’ মোহনবাগানকে শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তুলতে হবে, সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, রক্ষণ যেন অগোছালো না হয়ে যায়।