মুম্বই: ১২ বছর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে জয় পায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। শুক্রবার এই হারের খরা কাটিয়ে নয়া ইতিহাস গড়ল নাইট বাহিনী। ওয়াংখেড়েতে খেলার শুরুতে মনে হয়েছিল আরও সেভাবে হয়তো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না টিম কেকেআর। কিন্তু সুনীল নারিন, ফিল সল্টদের ব্যর্থতার দিনে বেঙ্কটেশ আইয়ারের অর্ধশতরান ও মণীশ পাণ্ডের ব্যাটে ১৬৯ রানে জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর (KKR)। প্লে-অফের দিকে আরও এক পা এগিয়ে গেল শ্রেয়স আয়ারেরা। ২০১২ সালে আইপিএলে এক বারই ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল নাইটরা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তারা হারাল মুম্বইকে।
ওয়াংখেড়েতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নাইট রাইডার্স প্রথম ওভারেই ফিল সল্টকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তৃতীয় ওভারে ৬ বলে ১৩ করে ফেরেন আংকৃষ রঘুবংশী। এই ওভারেই থুসারার পরবর্তী শিকার হন কেকেআর-এর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও। তিনি মাত্র ৪ বলে ৬ রান করেন। থুসারার দাপটে তিন ওভারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স। তবে ষষ্ঠ উইকেটে মণিশ পাণ্ডেকে সঙ্গে নিয়ে কেকেআর-এর হাল ধরার চেষ্টা করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। এই জুটি স্কোরবোর্ডে ৮৩ রান যোগ করে। তবে মণিশ ২টি করে চার এবং ছক্কার হাত ধরে ৩১ বলে ৪২ করে হার্দিকের বলে আউট হয়ে যান। কিন্তু হাল ধরে থাকেন বেঙ্কি। ৫২ বলে ৭০ করে আউট হন বেঙ্কি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩টি ছয়, ৬টি চারে। ১৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর।
আরও পড়ুন: দল নির্বাচন নিয়ে কী যুক্তি দিলেন রোহিত-আগরকর?
শেষ ছ’ওভারে জিততে দরকার ছিল ৬০ রান। আইপিএলে সেই রান তোলা কঠিন নয়। কেকেআরের দরকার ছিল উইকেট। সেটারই অভাব ছিল লক্ষ্যণীয়। শেষ পর্যন্ত কলকাতাকে স্বস্তি দেন রাসেল। তাঁর ফুলটসে ছক্কা মারতে যান সূর্য। কিন্তু ঠিকমতো ব্যাটে-বলে না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়। দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন সল্ট। ৩৫ বলে ৫৬ রান করে আউট হন সূর্য। একা পড়ে গিয়েও হাল ছাড়েননি ডেভিড। ১২ বলে দরকার ছিল ২৬ রান। স্টার্কের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় বলে শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভিড। ২৪ রান করেন তিনি। পরের বলেই আউট হন পীযূষ চাওলা।
আরও খবর দেখুন