বলি সমালোচকরা বলেন,ইন্ডাস্ট্রির হাল হকিকত অনেক আগেই বুঝতে পারেন করণ জোহর।সেই কারণেই বলিপাড়ার অন্য প্রযোজকদের থেকে একটু হলেও এগিয়ে থাকেন তিনি।কথাটা যে খুব ভুল নয় তা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছেন করণ জোহর। বলিউড ছবির প্রযোজনা করার পাশাপাশি দক্ষিণী তারকাদের নিয়ে মাল্টিলিঙ্গুয়াল ছবিরও প্রযোজনা করছেন তিনি।বিজয় দেবরাকোণ্ডা-অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত ‘লাইগার’-এর প্রযোজক কিন্তু করণই।পাশাপাশি ‘বাহুবলী’-র মতো মেগাবাজেট দক্ষিণী ছবির হিন্দি ভার্সন পরিবেশনার ভারও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।আবার আগামী ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর দক্ষিণী ভাষায় পরিবেশনার দায়িত্ব বন্ধু এস এস রাজামৌলিকেই দিয়েছেন কেজো।দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, বিশেষত তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি যে দারুণ আশাবাদী তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন ধর্মার কর্ণধার।
সদ্যই একটি ইন্টারভিউতে করণ সাফ সাফ স্বীকার করে নিয়েছেন, বর্তমানে বলিউড ছবির থেকে অনেক ভালো ফল করছে দক্ষিণী ছবিগুলি।বিশেষ করে অল্লু অর্জুনের নতুন ছবি ‘পুষ্পা-দ্য রাইস’-এর সাফল্যে উল্লাসিত তিনি।ইতিমধ্যেই ছবির রোজগার প্রায় ২৪০কোটির মতো। সেইভাবে কোনও রকম প্রচার না করেই গোটা দেশে কি ভাবে অভাবনীয় সাফল্য পেল ‘পুষ্পা’ তা ভেবেই অবাক করণ জোহর।এটাকেই বোধহয় প্যান ইন্ডিয়া ক্রেজ বলে,এমনটাই বলছেন কেজো।
তাঁর মতে,আগামী দিনে আরও ভালো দিন অপেক্ষা করছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য।‘ট্রিপল আর’-এর সাফল্য নিয়েও রীতিমতো আশাবাদী করণ জোহর।মুক্তির দিনেই ৩০ কোটির বেশি টাকার ব্যাবসা করবে এস এস রাজামৌলির ‘ট্রিপল আর’।এমনটাই মনে করছেন কেজো।তবে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের বাড় বাড়ন্তের জন্য ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না করণ জোহর।