ওয়েব ডেস্ক: বলিউড তারকাকুলের সন্তানরা একে একে অভিনয় জগতে পদার্পণ করছেন। সারা আলি খান হইতে জাহ্নবী কপূর, সুহানা খান অথবা সাম্প্রতিককালের রাশা থাডানি সকলেরই বলিউড অভিষেক হয়াছে। বহু বছর যাবৎ জল্পনা চলছে কাজল(Kajol)-কন্যা নিসা দেবগণের বলিউড অভিষেক লইয়া। যদিও বিগত কয়েক বৎসর বিভিন্ন সময়ে স্বীয় জীবনযাপন প্রণালীর জন্য ক্রমাগত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়াছে নিসাকে(Nysa)। বিভিন্ন সময়ে গাত্রবর্ণ লইয়া কটূক্তি শুনিতে হইয়াছে কাজল-কন্যাকে। সেই হেতু দ্বাবিংশতি বর্ষীয়া এই কন্যা ইতিপূর্বেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, ‘‘আমার কন্যা দ্বাবিংশ বর্ষে পদার্পণ করিয়াছে। ইতিপূর্বেই সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে আপাতত বলিউডে সে এখনই আসিতে চাহে না।’’ পরবর্তীকালে কন্যার কর্মজীবন কী হইবে, তৎসম্পর্কে অবশ্য কিছুই জানান নাই এই অভিনেত্রী।
ত্রিংশতেরও অধিক সময় ধরিয়া এই শিল্পে রহিয়াছেন কাজল। নবীন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীগণকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করিয়াছেন তিনি। বর্তমান সময়ে বলিউডে সৌন্দর্যের নিমিত্ত অস্ত্রোপচারের প্রাচুর্য দেখা যায়। অভিনয় জগতে তিষ্ঠিতে হইলে কি স্বীয় বাহ্যিক গঠন পরিবর্তনের আবশ্যকতা রহিয়াছে? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘দয়া করিয়া সকলের পরামর্শ গ্রহণ করিবেন না। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হইল, বহু লোকে বহু কথা বলিবে। কেহ বলিবে নাসিকা পরিবর্তন করুন, কেহ বলিবে হস্ত পরিবর্তন করুন, গাত্রবর্ণ পরিবর্তন করুন, সহস্র লোকের সহস্র প্রকার কথা।’’ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নায়িকাগণের অস্ত্রোপচারের সাহায্য গ্রহণের বিরোধিতা করেন নাই কাজল। তবে এই বিষয়টিকে তিনি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত রূপেই দেখিতে চাহেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ইহা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে অপরাপর সকলে জোর করিতেছে বলিয়াই যে আমাকে অস্ত্রোপচারের সাহায্য গ্রহণ করিতে হইবে, তাহা যেন না হয়।’’ এই প্রসঙ্গে নবীনদের উদ্দেশ্যে কাজল পরামর্শ দিলেন, ‘‘ঈশ্বর তোমাদিগকে একটি নির্দিষ্ট ছাঁচে নির্মাণ করিয়াছেন। তৎপরও যদি কোনও পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় হয়, তবে রূপসজ্জা তো রহিয়াছেই।’’