পুরনো গান রিক্রেট করা এই মুহূর্তে বলিউডি ট্রেন্ড। তবে এই ট্রেন্ড নিয়ে মোটেই খুশি নন কৈলাস খের। দু দশক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন কৈলাস। তাঁর বেঁচে থাকা, জনপ্রিয়তা, রোজগারপাতি সব কিছুর নেপথ্যেই রয়েছে মিউজিকের অবদান। আর তাই মিউজিকের সামান্যতম বিচ্যুতিও সহ্য করতে পারেন না কৈলাস।
তাঁর মতে, রিক্রেশনের সময় পুরনো গানের এসেন্স নতুন গানে ধরে রাখার চেষ্টা করা উচিত সংগীত পরিচালকদের। একমাত্র এমনটা করলেই পুরনো সৃষ্টির প্রতি সম্মান জানানো সম্ভব হবে। নইলে শুধুশুধু চেচামেচি, বেহিসাবি সুরযোজনা করে মিউজিক রিক্রেট করার ঘোর বিরোধী কৈলাস খের।
সমস্ত সৃষ্টিশীল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কৈলাস। তবে মিউজিকের অবমাননা মোটেই সহ্য হয় না তাঁর। গানের নামে তৈরি বেসুরে পুরনো সৃষ্টির প্রতি অপমান করা হয় বলেই মনে করেন কৈলাস।
গান তাঁর কাছে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। গান ছাড়া জীবন ভাবতেই পারেন না কৈলাস। গানের জন্যেই পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। গানের জন্যই সারা বিশ্বের মানুষ তাঁর পরিবারের মতো। গানের মধ্যে দিয়েই বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভালবাসেন তিনি। সম্প্রতি রথযাত্রা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে কৈলাসের জগন্নাথ- বন্দনা। এমন একটা গান গাইতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন কৈলাস খের। তাঁর মতে, ভারতের ঐতিহ্য- পরম্পরা সব কিছু বজায় রাখার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে গান। নিজের সংগীতচর্চায় সেটুকুই করে যাওয়ার চেষ্টা করেন কৈলাস।