সোজাসাপ্টা কথা বলতে জাভেদ আখতারের জুড়ি নেই। কারুকে তোয়াক্কা না করেই স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করে বলতে পছন্দ করেন জাভেদ সাব। সম্প্রতি ছবিতে গানের ব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হলেন তিনি। একালের পরিচালকদের রীতিমতো একহাত নিলেন জাভেদ।
সে একটা সময় ছিল, যখন ছবির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকত ছবির গান, কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করত গান। ছবিতে গানের ব্যবহার সব সময়েই ছিল যথোপযুক্ত। তারপর যত দিন গেছে, গান ক্রমশই বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে ছবির পরিচালকদের, এমনই মনে করেন গীতিকার জাভেদ আখতার। তাঁর মতে, এখনকার চলচ্চিত্র পরিচালকরা কেউই কাহিনির স্বার্থে গান ব্যবহার করেন না। আসলে গান ব্যবহার করতেই জানেন না তাঁরা।
জাভেদ মনে করেন, ইদানিং কালে বলিউড ছবিতে গান থাকে কেবল মাত্র মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির রেভিনিউ বাড়ানোর জন্য। জাভেদের মতে, গান এমন একটা জিনিস যা একটি শব্দে বোঝা যায় না, পুরো সৃষ্টি শোনার পরই অনুধাবন করা যায় গানের মূল্য। তবে ইদানিং জীবনের গতি যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে গানের টেম্পোও। শ্রোতার পক্ষে শব্দ ধরে ধরে গানের অর্থ বুঝতে পারা রীতিমতো কষ্টকর হয়ে পড়ছে বলেই মনে করছেন বর্ষিয়ান গীতিকার জাভেদ।
আরও পড়ুন: ফারহানের তিন নায়িকা
শুধুমাত্র মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির রেভিনিউ বাড়ানোর জন্য একালের পরিচালকরা ছবির যত্রতত্র গান গুঁজে দেন। কাহিনি, কাহিনির গতি, আবেগ কোনও কিছুরই ধার ধারেন না তাঁরা। লক্ষ্য একমাত্র অর্থ সংগ্রহ।
আরও পড়ুন: রিয়াকে দরাজ সার্টিফিকেট
পুরাকালে সংস্কৃত নাটক, রামলীলা বা কৃষ্ণলীলা, উর্দু- পারসী থিয়েটার, এমনকি শহুরে নটৌঙ্কিতেও গানের প্রভাব ছিল। জাভেদের মতে, ইদানিং কালের ছবি বেশির ভাগই ইংরেজি ছবি থেকে অনুপ্রাণিত, সেখানেও কিন্তু গানের ব্যবহার রয়েছে। জাভেদের যুক্তি ইটালিয়ান অপেরা, জাপানি কাবুকি সবেতেই গানের প্রভাব রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির জেনারেশন নেক্সটের সেই দিকেও নজর দেওয়া উচিত বলেই মনে করেন বর্ষিয়ান জাভেদ সাব।
আরও পড়ুন: বিয়ে নিয়ে ভাবছেন না ফারহান-শিবানী