কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতি মামলা রয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের (Jacqueline Fernandez) বিরুদ্ধে। তাই রবিবার দুবাই যাওয়ার পথে তাঁকে মুম্বই বিমানবন্দরেই আটকে দিলেন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এক ব্যক্তি পরিচালিত ২০০ কোটি টাকার তোলাবাজি চক্রে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে একটি LOC (লুক আউট সার্কুলার) রয়েছে।তাই অভিনেত্রীর এখন দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই রবিবার তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। এরপর মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরাসরি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর তিহার জেলে থাকার সময় একজন ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা তোলাবাজি করে। এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চার্জশিট অনুযায়ী, এই সুকেশ চন্দ্রশেখর নামের ব্যক্তির সঙ্গেই অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
সুকেশ অভিনেত্রীকে ৫২ লক্ষ টাকার একটি ঘোড়া এবং ৯ লক্ষ টাকার একটি পার্সিয়ান বিড়াল উপহার দিয়েছিল। এছাড়াও চার্জশিটে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপহারের উল্লেখ রয়েছে। জ্যাকলিন ছাড়াও অভিনেত্রী নোরা ফতেহির নামও রয়েছে সেই চার্জশিটে। ইতিমধ্যেই নোরাকেও জেরা করেছে ইডি।
আরও পড়ুন – ২০০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় অভিনেত্রী নোরা ফতেহিকে ইডির তলব
এর আগেই ইডি জানিয়েছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর এই তোলাবাজি মামলার মাস্টার মাইন্ড৷ যে ১৭ বছর বয়স থেকে অপরাধ জগতে পা রাখে৷ তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ সে বর্তমানে রোহিনী জেলে রয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এআইএডিএমকের ‘আম্মা’ শাখার নেতা টিটিভি ধীনাকরণের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে৷ সেই টাকা ‘দুই পাতা’ নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে বিরোধের জন্য নির্বাচনী প্যানেল কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।