কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : শনিবার মাঝ সমুদ্রে চলছিল উদ্দাম ‘রেভ পার্টি’। আর এই পার্টি থেকেই শনিবার রাতে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে আটক করে এনসিবি। অবশেষে দীর্ঘ ৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই ক্রুজ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কোকেন, এমডিএম-এর মতো প্রচুর টাকার নিষিদ্ধ মাদক।
আরিয়ানের কাছেও মিলেছে নিষিদ্ধ মাদক ও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। আরিয়ানের কাছে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ৫ গ্রাম মেফেড্রোন ও ২২টি এমডিএমএ (একস্ট্যাসি) পিলস।
মেফেড্রোন একটি নিষিদ্ধ মাদক যা আফ্রিকায় উৎপাদিত হয়ে সারা বিশ্বে পাচার হয়। মেফেড্রোন নেওয়ার পর ১২ ঘণ্টা জেগে থাকার ক্ষমতা তৈরি হয়। এই ড্রাগে দ্রুত ওজন কমে যায়।
অন্যদিকে রয়েছে এক্সট্যাসি মাদক। এটিও নিষিদ্ধ। এই ড্রাগ গ্রহনে হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি হয়। কিশোর -কিশোরীরা তাদের পার্টি করার মজা বাড়ানোর, জেগে থাকার এবং তাঁদের মেজাজ ফুরফুরে করার জন্য ব্যবহার করে। এছাড়াও এটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট তথা হাগিং পিল নামেও পরিচিত।
আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
আরও পড়ুন – শাহরুখ পুত্র আরিয়ান-সহ গ্রেফতার ৩
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এই নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য কেনার জন্য, নিজের কাছে রাখার জন্য এবং সেবন করার অভিযোগ আনা হয়।
রবিবার আরিয়ান-সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং দিল্লির ফ্যাশন ডিজাইনার মুনমুন ধামেচাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)র হেফাজতে তাঁদের আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাখার নির্দেশ দেয়। আগামী ৫ তারিখ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন – আসছে ‘গডসে’
সূত্রের খবর আরায়ান খানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আদালতে জামিনের দাবি জানিয়ে বলেন, আরিয়ানকে শুধুমাত্র চ্যাট মেসেজের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন,’আরিয়ানের কাছে ক্রুজের কোনও টিকিট ছিল না। এমনকি কোনও কেবিনও ছিল না। তিনি সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই কারণে তাঁর কাছে বোর্ডিং পাসও ছিল না। শুধুমাত্র চ্যাটের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’