অনেক বড় বড় পরিচালক তাঁকে শুধু কমেডিয়ান হিসেবে কাস্ট করতে চাননি। তিনি ছিলেন একই সাথে একজন সফল চরিত্রাভিনেতাও। যাঁর ডায়লগ বলার টাইমিং ছিল অত্যন্ত নিখুত। উত্তম কুমার পর্যন্ত তার টাইমিং নিয়ে অত্যন্ত প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়েরও অত্যন্ত প্রিয় একজন অভিনেতা ছিলেন। এই প্রতিভাবান অভিনেতা কে বাদ দিয়ে সত্যজিৎ বাবু কখনোই ‘গুপী গাইন বাঘা বায়েন’ এর কথা ভাবতে পারেননি। কমেডিয়ান অভিনেতা হিসেবে তার জনপ্রিয়তা শীর্ষে পৌঁছেছিল। সঠিক অভিনয় শিক্ষা না থাকলে যে তার মত এই ভাবে প্রকাশ করা যায় না সেকথা পরিচালক গৌতম ঘোষ স্বীকার করেন। বহুদিনের নাট্যচর্চাও কমেডিয়ান রবি ঘোষ কে ভালো চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে তৈরি করেছিল। একটি পরিশোধিত মন তৈরি না হলে এই ধরনের রসবোধের অধিকারী হওয়া যায় না বলে অনেক পরিচালক মনে করেন। রবি ঘোষ শুটিংয়ের সময় যে বাকিদের আড্ডা জমিয়ে রাখবেন তা নিয়ে সহ অভিনেতাদের নানান কাহিনী সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তি জীবনে অসম্ভব রসিক মানুষ ছিলেন রবিবাবু। পরিচালক সন্দীপ রায়ের কথায় রবি কাকার একটি ছোট্ট অভিনয় দেখে বাবা এতটাই মোহিত হয়েছিলেন যে উনি অভিযান ছবিতে তাঁকে কাস্ট করেছিলেন। পরিচালক সন্দীপ রায়ের কথায়, রবিকাকা একজন অত্যন্ত উঁচু স্তরের চরিত্রাভিনেতা ছিলেন। শুধু একজন উচ্চ মানের কমেডিয়ান ছিলেন না। সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায় যখন নাবালক শেষ সময় অভিযান ছবির শুটিংয়ে বীরভূম জেলায় যাবার সুযোগ হয়েছিল বাবার সঙ্গে। সেসময়ের এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে ভোলেননি সন্দীপ রায়। তিনি বলেছেন আমি খুব কম অভিনেতাকে খেতেখেতে নিখুঁত ডায়লগ বলতে শুনেছি। তাদের মধ্যে রবিকাকা ছিলেন অনবদ্য। স্মৃতিটা আমার খুব বেশি করে মনে পড়ছে আজ তাঁর জন্মদিনে।