৫৪ টা গান, ৫ বছর ইউটিউবে লোকে শুনছে। আর তার থেকে আয় মাত্র ২৫০০ টাকা। হ্যা, এটাই বাস্তব।একসময় তিনি ওঠার ঘন্টাখানেক আগের থেকে তিলধারণের জায়গা থাকতো না অনুষ্ঠানস্থলে। একসময় এক সন্ধ্যেয় তাকে তিন থেকে চারটে অনুষ্ঠানেও গান গাইতে হতো। আজ দিল্লী তো কাল উত্তরবঙ্গ তো পরশু আমেরিকা – ডাইরি ভরা থাকতো অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে। কিন্তু সময় পাল্টে গেছে। সিডি, ক্যাসেট এর দিন শেষ. সিনেমা এখন অন্যরকম সুর, কথা দাবি করে। অডিও কোম্পানি আর ডাকে না। কোরোনাকালে অনুষ্ঠান বন্ধ। অবসন্ন শিল্পী। নানারঙের দিন হারিয়ে গেছে, বড় বেরঙিন আজকাল।অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে খোলাখুলি এই কথাগুলোই বলে বসলেন রূপঙ্কর। ইন্ডাস্ট্রি তাকে চেনে নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে। কোনোদিন কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান নি তিনি। আজকেও সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ খুললেও নিজের যন্ত্রণাকেই তুলে ধরলেন। পরিষ্কার জানালেন সিডি, ক্যাসেট আর হয় না। কোম্পানি গান প্রকাশ করলেও প্রমোশন করেন না। আর SVF তো মুখের ওপর না বলে দেয়। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে একটা ছবিতে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটাও ফ্লপ। নতুন গান তাহলে কোথায় করবো? কে শুনবে? দয়া করে একটু গান শুনুন যারা আমাকে, আমার গানকে ভালোবাসেন। অন্তত আমার ইউটিউব চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করুন। গত ৫ বছরে ৫৪টা গান আপলোড করে ২৫০০ টাকা জুটেছে। একটু যদি পাশে দাঁড়ান।রুবি রায়, এ তুমি কেমন তুমি, বৌদিমণির গায়কের পাশে দাঁড়ান। আশা রাখি আমাদের মিলিত চেষ্টাতেই সংগীতশিল্পী হিসেবে রূপঙ্কর আবার নতুন গানের ভোর দেখাবে আমাদের।