১৯৩৬ সালে তৈরি চন্দননগরের সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহ ‘শ্রী দুর্গা ছবিঘর’ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত সাধারণতন্ত্র দিবসে নতুন করে চালু হয়েছে । করোনা মহামারির পর সারা রাজ্য জুড়ে বহু প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেছে। ধুকছে বিনোদন দুনিয়া। বন্ধ হয়ে যাওয়া চন্দননগরের এই প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার করে আবার খুলল। বন্ধ থাকাকালীন হলমালিক অশোক নন্দীর কাছে এটি নতুন করে চালু করার জন্য চন্দননগরবাসী আবেদন জানিয়েছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তী- দেবের ‘প্রজাপতি’র হাত ধরে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করল চন্দননগরের এই সিঙ্গেল স্ক্রিন।
বর্তমানে চন্দননগরের বুকে এই একটি মাত্র সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল রয়েছে।২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে চন্দননগরের একাধিক সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বপ্না, জ্যোতি, জোনাকি তিনটে সিঙ্গেল স্ক্রিনের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। তবে অস্তিত্বে লড়াইয়ে টিকে ছিল ‘শ্রী দুর্গা ছবিঘর’। যদিও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সিনেমা হলের মালিককে ওই জায়গায় মাল্টিপ্লেক্স গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সমস্ত লোভনীয় প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে হল মালিক অশোক নন্দী হলটির সংস্কারে উদ্যোগী হন।এই সিঙ্গেল স্ক্রিনে সংস্কারের ফলে নতুন করে বসবার সিট লাগানো হয়েছে। হলের অর্ধেক অংশ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। হলের ভিতর ব্যালকনি, কাপল জোন ও সাধারণ জায়গাও রাখা হয়েছে। নতুন করে এই হল চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রাও। কাজ ফিরে পেয়ে খুশি হলের কর্মীরা।