কলকাতা : প্রখ্যাত সেতার বাদক পন্ডিত কুশল দাসের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ২৯ জুলাই সাউথ সিটি মলের মিনি ব্যাংকোয়েটে এক মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সংগীতের আয়োজন করা হয়েছে। কলাশ্রী মিউজিক সার্কেল এই অনুষ্ঠানটি করবে। মূলত পন্ডিত কুশল দাসের শিষ্যরাই এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা। পন্ডিতজির প্রতিভাবান কিছু শিষ্য এই অনুষ্ঠানে বাজাবেন। এছাড়াও তার সুযোগ্য পুত্র কল্যাণজিৎ দাসের সঙ্গে পন্ডিত কুশল দাসের যুগলবন্দী থাকবে অন্যতম আকর্ষণ।
মায়েস্ত্র কুশল দাসের জন্ম সংগীত পরিবারে। বাবা পন্ডিত রবিশংকরের শিষ্য এবং কাকা ওস্তাদ আলী আকবরের খানের শিষ্য। খুব স্বাভাবিক কারণেই ছোটবেলা থেকেই কুশল দাসের রাগ রাগিনীর উপর ছিল অমোঘ টান। মাত্র চার বছর বয়স থেকে তিনি সংগীতের তালিম নেওয়া শুরু করেন। কুশলবাবু প্রথম নাড়া বাঁধেন পন্ডিত সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে অবশ্য পন্ডিত অজয় সিনহা রায়ের কাছে তালিম নেন। শুধু সেটার নয় শাস্ত্রীয় সংগীতেরও তালিম নিয়েছিলেন তিনি। মূলত তিনি মাইহার ঘরানার হলেও সমস্ত ঘটনার প্রতি তার ছিল অগাধ ভালোবাসা। সুবিখ্যাত সেতারবাদক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন বারবার।
এই মুহূর্তে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে এক অন্যতম দিকপাল সেতার বাদক পন্ডিত কুশল দাস। কলকাতায় ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স ছাড়াও প্যারিসের ‘ফিলহারমনি’ কিংবা যুক্তরাজ্যের ‘কুইন এলিজাবেথ হল’ ও প্যারিসের ‘থিয়েটার দে লা ভিলে’তে পন্ডিত কুশল দাস সেতার পরিবেশন করেছেন।
এবছর এই স্বনামধন্য সেতার বাদকের সংগীত জীবনের ৬০ তম বছর পূর্তি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে যে কজন সংগীত বিশারদ বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন পন্ডিত কুশল দাস তাদের মধ্যে অবশ্যই অন্যতম। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করে।
পন্ডিত কুশল দাস মনে করেন, সংগীত তাঁর পেশা নয়, তিনি সমগ্র পৃথিবীতে প্রেম- ভালবাসা-শান্তির বাণী তাঁর সঙ্গীত ঝংকারের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে দিতে চান।