কলকাতা : আগামী মাসেই মুক্তি পাচ্ছে দেব ও রুক্মিণী অভিনীত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ ছবিটি। ছবির পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিরসা দাশগুপ্ত। মুক্তির আগে এই ছবি নির্মাণের নেপথ্যের গল্প তুলে আনলেন দেব এবং বিরসা।
কাজ করতে গিয়ে অভিনেতাদের কত কিছুর মুখেই না পড়তে হয়! কখনও কখনও তাঁরা কোনও সাক্ষাৎকারে সেসব গল্প বলেন, কখনও বা রিয়েলিটি শোতে এসে। সব দেখে শুনে সকলেই অবাক হয়ে যান।একটা ছবি তৈরি করতে মাসের পর মাস রিসার্চ, পরিশ্রম করতে হয় ছবির গোটা টিমকে। একটা ছবির নেপথ্যে থাকে হাজারো অপ্রকাশিত গল্প। দর্শকরা কেবল ছবিটি দেখতে পারে কিন্তু ছবির পিছনের সেই অপ্রকাশিত গল্প জানতে পারে না। তবে এবার সেসব গল্প জানালেন দেব ও বিরসা দাশগুপ্ত। ব্যোমকেশের একটা বড় অংশের শ্যুটিং হয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
সেখানকার গড়কুণ্ডা দুর্গে হয়েছে ছবির বেশিরভাগ দৃশ্যের শ্যুট। কিন্তু দুর্গ বা তার লোকেশন পছন্দ হলেও সেখানে শুটিং করা যে বেশ কষ্টকর ছিল সেটাই এবার জানালেন দেব। সদ্য একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। আর সেই ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে ভারী ভারী মালপত্র নিচ থেকে দুর্গের উপরে বয়ে আনার চূড়ান্ত পরিশ্রম। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মেকআপ করার দৃশ্য থেকে সেট সেটআপের দৃশ্যও ধরা পড়েছে সেই ভিডিওতে। দেব এই ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, “ওরা কাজ করে পর্দার পেছনে। একেই বলে শুটিং! ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য, পর্ব: ১ – গড়কুণ্ডা দুর্গ।” ।
যেখানে এই দুর্গে শ্যুটিংয়ের জন্য এত পরিশ্রম করতে হচ্ছে সেখানে প্রশ্ন উঠছে কেন গোটা দেশের মধ্যে এই দূর্গ বেছে নেওয়া হল? এর উত্তরে দেব জানান, “ব্যোমকেশ যেভাবে লেখা হয়েছিল তাতে আমাদের মনে হয়েছে এখানে শুটিং হলে ভালো হবে। এই দুর্গটা এতটাই সুন্দর যে বহুদিন পর মানুষ বাংলা ছবিতে এত সুন্দর ভিজ্যুয়াল দেখতে পারবেন। আর এর পুরোপুরি কৃতিত্ব যাচ্ছে বিরসা এর শুভঙ্করের উপর। ওদের বন্ডিং আর বোঝাপড়া খুব ভালো।” এদিন শ্যুটিংয়ের পরিশ্রমের কথা বলতে গিয়ে দেব আরো জানান, “২৫০-৩০০ সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে হয় আমাদের। এত ভারী ভারী মালপত্র সব, লাইট, ইত্যাদি সবই বয়ে আনতে হচ্ছে। অত্যন্ত পরিশ্রমী আর কষ্টকর একটা আউটডোর ছিল এটা। গোটা টিমের অনেক পরিশ্রম হয়েছে।”