আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক স্যাম আসগরির সঙ্গে বাগদান পর্ব সারলেন। গায়িকার ম্যানেজার ব্র্যান্ডন কোহেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনকে এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই যুগল দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলেন। ভক্তরা তাদের প্রতি যে সমর্থন ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন তাতে তাঁরা সত্যিই অভিভূত’। ব্রিটনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্যাম আসগরির সঙ্গে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছেন। একইভাবে স্যাম সোশ্যাল মিডিয়া একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে স্যাম-ব্রিটনি চুম্বনরত অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনে ব্রিটনি তার অনামিকায় শোভা পাওয়া আংটিটি দেখাচ্ছেন। ২০১৬ সালে একটি মিউজিক ভিডিওর সেটে ২৭ বছর বয়সী স্যামের সঙ্গে ব্রিটনির পরিচয় হয়। তিনি ইরানে জন্মালেও ১২ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ব্রিটনির বয়েস এখন ৩৯ বছর। ব্রিটনি এর আগে দুবার বিয়ে করেছিলেন।২০০৪ সালে ব্রিটনি তার ছোটবেলার বন্ধু জেসন আলেকজান্ডারকে বিয়ে করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আর গান গাইবেন না পপ তারকা ব্রিটনি
কিন্তু তাদের সেই বৈবাহিক সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। একই বছরে নৃত্যশিল্পী কেভিন ফেডারলিনকে বিয়ে করেন ব্রিটনি। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু ২০০৭ সালে তাদের সংসারে ইতি টানেন এই পপ গায়িকা এবং গানের লেখিকা। ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম স্টুডিও’ অ্যালবাম দিয়ে প্রায় ১৭ বছর আগে আন্তর্জাতিক সংগীত আঙিনায় ঝড় তুলেছিলেন এই মার্কিন পপ গায়িকা। প্রথম অ্যালবাম দিয়েই সারা পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রিটনি। তারপর থেকে তাঁকে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।স্মরণে থাকতে পারে প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনযাত্রা ও আর্থিক সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন তার বাবা। কয়েক মাস আগে তার হয়ে মার্কিন কনজারভেটিভশিপ আইনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তিনি আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন। কিছুদিন আগেই মার্কিন আদালতের কাছে আর্জি জানিয়ে এই ‘বন্দিদশা’ থেকে ব্রিটনি মুক্তি চেয়েছিলেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন এটা আমার কাছে অত্যন্ত ‘অপমানজনক’ এবং ‘দাসত্ব’ অনুভব করায়। যদিও ব্রিটনি সেই মামলায় হেরে গিয়েছিলেন। আদালত ব্রিটনির বাবার পক্ষেই রায় দেয়। তাঁর বাবা এমনকি স্যাম আসগরির সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। গ্র্যামি জয়ী ব্রিটনি তার বার্তায় লিখেছিলেন, কনজারভেটরশিপ বা তাঁকে নিয়ন্ত্রণের এই আইন তার সমস্ত স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তিনি মানসিকভাবে এতটাই বিপর্যস্ত যে নতুন করে গান লেখার ক্ষমতা তাঁর নেই। আদালতে ব্রিটনি জানিয়েছিলেন, তিনি দিনের পর দিন শুধু কেঁদেছেন। তিনি জানান,’আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই’। সারা পৃথিবীর ব্রিটনি-সমর্থকদের ধারণা স্যামের সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে তিনি নতুন জীবনের পথে পা বাড়ালেন।