তামিলনাড়ুর থেপ্পাকাড়ু গ্রামের হস্তীসাবকরা রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। তাদের দেখতে উপচে পড়ছিল ভিড়। কারণ তাদের ছবি ‘দ্যা এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’ এবছর ৯৫ তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অর্থাৎ অস্কারের সেরা তথ্যচিত্র ছোটগল্প বিভাগের পুরস্কৃত হয়েছিল।এই ছবিতে বোমান এবং বেল্লি-দুই বিখ্যাত মাহুত দম্পতি একইভাবে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন।
জানা যাচ্ছে,এই দম্পতি ছবির পরিচালক কার্তিককে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারা ২ কোটি টাকা দাবি করেছেন। দম্পতিকে একটি উপযুক্ত বাড়ি এবং ব্যবহারকারী যানবাহন ও এককালীন বেশ কিছু অর্থ প্রদান করার কথাও ওই আইনি নোটিশে দাবি করা হয়েছে। নোটিশে যথেষ্ট আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এই সমস্ত কোন প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি বলে ওই মাহুত দম্পতির বক্তব্য। কাজী তাদের মূল্যবান সময় নষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই সমস্ত দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে আরোও উল্লেখ করা হয়েছে যে এই দম্পতিকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছে ‘প্রকৃত নায়ক’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের জন্য ব্যাপক প্রচার পেয়েছেন ছবির নির্মাতারা। এমনটাই দাবি ওই দম্পতির। এছাড়াও নির্মাতারা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সমস্ত আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন বলে ওই দম্পতি উল্লেখ করেছেন। অস্কার পুরস্কার পাওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ৫ মাস।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে প্রমাণ জানিয়েছেন এই মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু না বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক কর্মী প্রভিন রাজ পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন এই দম্পতিকে প্রায় এক দশক ধরে তিনি চেনেন। প্রভিন জানিয়েছেন,’বোমান এবং বেল্লি উভয়ই পরিচালক গঞ্জালভেসের এই ব্যবহারে হতাশ। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সত্বেও কিছুই তাদের জন্য করা হয়নি। অথচ ছবি থেকে প্রচুর অর্থ লাভ হয়েছে বলে প্রভিন উল্লেখ করেছেন। বোমান ফোন করলেও নাকি গঞ্জালভেস ফোন ধরেন না।