ওয়েবডেস্ক- কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে (Blacbuck Poaching Case) অভিযুক্ত সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) , টাবু (Tabu), সোনালী বেন্দ্রে (Sonali Bendre) এবং নীলম (Neelam,) অভিযোগ মুক্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ রাজস্থান সরকার (Rajasthan Government) । ১৯৯৮ সালের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই চারজনকে নিয়ে ফের শুনানি ২৮ জুলাই। একই সঙ্গে সেদিন শুনানি সলমন খানের (Salman Khan) আবেদনেরও।
বিচারপতি মনোজ কুমার গর্গ ১৬ মে রাজ্যের আপিলের শুনানি করেন এবং তার আদেশে বলেন: ২৮.০৭.২০২৫ তারিখে মামলাটি অভিযুক্ত সলমান খানের দায়ের করা ফৌজদারি আপিলের সঙ্গে তালিকাভুক্ত করেন।
২০১৮ সালে যোধপুর দায়রা আদালতে সলমন খান দোষী সাব্যস্ত। কিন্তু সহ অভিযুক্ত সইফ আলি খান, টাবু, সোনালী বেন্দ্রে ও নীলমকে অভিযোগ থেকে মুক্তি। আদালত ঘোষিত সেই সাজার বিরুদ্ধে সলমনের আবেদন। ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে যোধপুরের কাছে মাথানিয়া গ্রামের অদূরে ভাগোদা কি ধানিতে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ। অভিযুক্তরা ‘হাম সাত সাত হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে তখন সেখানে। তখনই এই কীর্তি বলি তারকাদের।
আরও পড়ুন- কান-এর লাল গালিচায় অভিনেত্রীর বক্ষ বিভাজিকায় দুলছে নরেন্দ্র মোদির ছবি! কে সে!
অথচ দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সংরক্ষিত প্রাণী তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে কৃষ্ণসার হরিণ।
আর সেই সূত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে বিশ্বাসী বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের তরফে ওই চলচ্চিত্র তারকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে, ট্রায়াল কোর্ট অভিনেতা সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে, সহ-অভিযুক্ত সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম, সোনালী বেন্দ্রে এবং স্থানীয় এক ব্যক্তি দুষ্মন্ত সিংকে প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, সলমান খানকে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে, জেলা ও দায়রা আদালত তাকে ৫০,০০০ টাকার জামিনে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে এবং একই দিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
যোধপুর আদালতে রায় দেওয়ার সাত বছর পরে রাজ্য সরকার তাদের আবেদনে সলমান খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি বৃহত্তর আপিলের অংশ হিসেবে স্থানান্তর করার এবং অন্তর্ভুক্ত করার অনুমতি চেয়েছে। বর্তমানে সলমন জামিনে থাকলেও মামলাটি হাইকোরটে বিচারাধীন।
এর পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাং-এর টার্গেট সলমন খান। একাধিকবার বলিউড ভাইজানকে তাদের প্রাণঘাতীর হুমকির সামনে পড়তে হয়েছে। এমনকি এই হুমকির হাত থেকে রেহাই পাননি সলমনের বাবাও। সলমনের মুম্বইয়ে বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোও হয়েছিল।
দেখুন আরও খবর-