অ্যাডভেঞ্চার বিমুখ বাঙালির মনে একটু আধটু হলেও অ্যাডভেঞ্চারের জন্ম দিয়েছেন যে মানুষটি, তিনি অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। অরণ্যপ্রেমী সব্যসাচীর জন্মদিন আজ। সব্যসাচী চক্রবর্তী মানেই একাধারে ফেলুদার মগজাস্ত্র আর কাকাবাবুর পিস্তল। শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। ছোটপর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক তেরো পার্বণ-এ অভিনয় করেছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। অভিনয় জীবনের একাবারে শুরুতেই গোরা-র চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সব্যসাচী। তারপর অনেকগুলো দিন দর্শকের কাছে গোরা আর সব্যসাচী ছিল প্রায় সমার্থক।
আরও পড়ুন : ‘পাঠান’-এর ডেস্টিনেশন স্পেন
মঞ্চ আর ছোটপর্দায় দাপিয়ে কাজ করতে করতেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট কাকাবাবুর চরিত্রে অভিনয়ের অফার পান সব্যসাচী। পর পর বেশ কিছু ছবিতে তিনিই যেন হয়ে উঠেছিলেন রক্ত মাংসের রাজা রায় চৌধুরী। সব্যসাচীর কাকাবাবুর হাত ধরে যখন অ্যাডভেঞ্চারটাকে আস্তে আস্তে আয়ত্ত্ব করছে দর্শক সেই সময়ই আরও একটা চমক। এবার আর কাকাবাবু নয়, ফেলুদার চরিত্রেও দেখা গেল সব্যসাচীকে। আর সেখানেও বাজিমাত করলেন সব্যসাচী। নতুন প্রজন্মের দর্শকের কাছে ফেলুদা মানে তিনিই।
দীর্ঘদেহী মানুষটিকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন তারা একবাক্যে স্বীকার করেন ইন্ডাস্ট্রিতে বেণুদার মতো ভদ্র মানুষ হন না। পর্দার মতোই বাস্তবেও অ্যাডভেঞ্চার দারুণ পছন্দ করেন ফেলুদা। সময় পেলেই বেড়িয়ে পড়েন অরণ্যের খোঁজে। কেনিয়ার জঙ্গলই হোক বা ডুয়ার্স সেখানকার বন্য প্রাণী থেকে শুরু করে গাছগাছালি সবই প্রাণ পায় তাঁর লেন্সে। ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি তাঁর অন্যতম প্যাশনের জায়গা। দেশ- বিদেশের অরণ্যকে প্রায় হাতের তালুর মতো চেনেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাঁর হাত ধরেই বাঙালির অরণ্যচেনা।
শ্বেত পাথরের থালা, অন্তর্ধান, মধুলবনের সেরেঙ-এর মতো অসংখ্য বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কিছু হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন টলিপাড়ার সকলের প্রিয় বেণুদা।ছোটপর্দা- বড়পর্দা- মঞ্চ সবেতেই আজও রীতিমতো জনপ্রিয় সব্যসাচী চক্রবর্তী।
ফেলুদার মতো অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হলেও ব্যক্তি সব্যসাচী কিন্তু একেবারে খাঁটি বাঙালি। জন্মদিনটা তাই বাঙালি মেজাজেই কাটান বেণুদা। এবারের জন্মদিনটা বাড়িতেই থাকছেন তিনি, সারাদিন নো শ্যুটিং। সকালে লুচি- আলু চচ্চড়িতে হয়েছে ব্রেকফাস্ট। সন্ধ্যাবেলা হবে বার্থ ডে স্পেশাল কেক কাটা। সব্যসাচীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তী বাড়িতেই বানাবেন কেক,সঙ্গে পায়েসও । দুই পুত্র অর্জুন আর গৌরবের মধ্যে, অর্জুন ওড়িশায় শ্যুটিং সারছেন। তিনি না এলেও সন্ধ্যাবেলা বাবার জন্মদিনে আসছেন বড়পুত্র গৌরব আর পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা। সকলে মিলে জমিয়ে ডিনার সারবেন এমনটাই প্ল্যান।প্রতিবারের মতো এবারটাও জন্মদিনে ভক্তদের ফোন আর শুভেচ্ছাবার্তায় ভেসে যাচ্ছেন ফেলুদা।
শিল্পীর জন্মদিনে আমাদের তরফ থেকেও রইল অনেক শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন : সোনমের বাড়ির অন্দরমহল