কলকাতা: মা-মেয়ের গল্প বলবে সুমন ঘোষ পরিচালিত ‘পুরাতন’ (Puratawn)। তেমননি পুরনোকে নতুন করে তোলার গল্প বলবে এই ছবি। এছবিতে একফ্রেমে ধরা দেবেন দুই প্রজন্মের অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণার উদ্যোগেই প্রায় ১৪ বছর পরে আরও একবার বাংলা ছবিতে ফিরতে চলেছেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। ১১ এপ্রিল মুক্তি পেল সুমন ঘোষ পরিচালিত ছবি ‘পুরাতন’। ছবির প্রচারে শুক্রবার কলকাতায় এসেছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘অপর্ণা’। শুক্রবার ঋতুপর্ণাকে (Rituparna Sengupta) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। এক ভিডিও বার্তায় গোটা ‘পুরাতন’ টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন করিনা কাপুর খান। বাদ যাননি সইফ আলি খানও।
গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুঁতখুঁতে সত্যজিতের ‘অপর্ণা’। চিত্রনাট্য বেছে কাজ করতে পছন্দ করেন শর্মিলা ঠাকুর। সেই জন্যই তো বাংলা সিনেমায় ফিরতে ১৪ বছর সময় নিলেন অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছে, ‘পুরাতন’ দিয়েই নাকি দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে যতিচিহ্ন টানতে চলেছেন শর্মিলা ঠাকুর। পরিচালক সুমন ঘোষের (Suman Ghosh) কথায়, “পুরনোকে নতুন করে তোলার গল্প বলবে এই ছবি। শর্মিলা ঠাকুর ছাড়া এই ছবিটি সম্ভব হত না। ওঁকে ভেবেই ছবির পরিকল্পনা। সিনেমার নামের মধ্যেই লুকিয়ে একটা কাহিনি।
আরও পড়ুন: “ব্রিটিশরা দেখুক ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ ভুল বুঝতে পারবে”,কেন বললেন অক্ষয়!
পরিচালনায় ছবির মাধ্যমে ফিরিয়ে আনলেন বাঙালির আবেগকে। শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকার গল্প বলবে পুরাতন। বাঙালি ফিরে পাবে গঙ্গার পার ঘেঁষা পুরনো বাড়ি, সেই চিলোকোঠা, শ্যাওলা ধরা ইটের দেওয়াল।প্রথম থেকে শেষ গল্পকে ধরে রেখে ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ছবিতে এক বৃদ্ধা চরিত্রে দেখা যাবে শর্মিলা ঠাকুরকে। যিনি তাঁর হারিয়ে যাওয়া সময়কে সমসাময়িক করে রেখেছেন নিজের কাছে। শর্মিলা ঠাকুরের মেয়ে ভূমিকায় দেখ যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta)। ও তাঁর প্রেমিক ইন্দ্রনীল। মায়ের ৮০তম জন্মদিন উদযাপন করতে একত্রিত হন, তখন বুঝতে পারেন যে শর্মিলা ঠাকুরের স্মৃতিশক্তি ক্রমশঃ লোপ পাচ্ছে। তাঁর অতীত-বর্তমান মিলেমিশে একাকার, যা বেশ উদ্বেগজনক।
এই ছবি নিয়ে শাশুড়ির হয়ে চিয়ার করলেন করিনা কাপুর। ভিডিও বার্তায় করিনা কাপুর জানিয়েছেন, “১৪ বছর পর বাংলা সিনেমায় আমার শাশুড়ি, শর্মিলা ঠাকুরের প্রত্যাবর্তন। উনি বরাবরই বাংলার আসল বাঘিনী ছিলেন, থাকবেনও। আমার মতো আরও অনেকেই ‘পুরাতন’ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ‘পুরাতন’ টিমের সকলেকে অসংখ্য শুভেচ্ছা রইল। ১৪ বছর পর বাংলা সিনেপর্দায় মাকে দেখে সইফ আলি খান বলেন, সিনেমাটি সম্পর্কের বন্ধনের গল্প। এত সুন্দর একটি প্রয়াসের জন্য সুমন ঘোষ ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ধন্যবাদ জানাই। ঋতু খুব ভালো প্রযোজক। এই ছবিতে ও অসাধারণ অভিনয় করেছেন। শুধু আমি বা আমাদের পরিবার নয়, আমার আম্মাকে (মা) পর্দায় দেখার জন্য সকলেই উচ্ছ্বসিত। ছবির সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
দেখুন ভিডিও