কলকাতা : দেখতে দেখতে ৩০০পর্ব ছুঁয়ে ফেলল সান বাংলার ‘আলোর ঠিকানা’। যে সময় বেশিরভাগ মেগা সিরিয়ালের আয়ুষ্কাল খুবই সীমিত, সেখানে সান বাংলার ‘আলোর ঠিকানা’ ৩০০পর্ব পার করে ফেলল, স্বাভাবিকভাবে খুবই খুশি কলাকুশলীরা। সেটের মধ্যেই মহা ধুমধাম করে কেক কেটে সেলিব্রেট করা হল এই ৩০০পর্বে পর্দাপন। সারা দিন জুড়েই ছিল খুশির মেজাজ। শুটিং চললেও ফাঁকে ফাঁকে চলছিল উৎসবের আয়োজন।
আলো আর অভির সম্পর্ক ভাল হলেও ওদের মধ্যে সারাক্ষণ ঝড় তোলার চেষ্টা করে দেবরাজ-চারুরা। অদ্রিজার বিয়ের সময় অরুনের কিডন্যাপিং-এর দোষ আলোর নামে চাপিয়েও যখন আলোর ব্যবসা আর আলো-অভির সম্পর্কে ঘুন ধরানো যায়নি তখন দেবরাজ প্ল্যান করেছে আলোদের তৈরী খাবারে বিষ মেশানোর – সেই খাবার খেয়ে কারও কিছু হলে আলোকে জেলে পাঠানো যাবে, এটাই দেবরাজদের টার্গেট। সেই বিষ মেশানো খাবার ভাগ্যের ফেরে খেয়ে বসে দেবরাজের নিজের ছেলে প্রীতম আর মেজভাই শুভর মেয়ে ঐশি। কি হয় তারপর!
কেক কাটলেন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য শকুন্তলা বড়ুয়া।ছিল এলাহি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া। সমস্ত কলাকুশলীরা এই দিন একসঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে মটন-ভাত খেয়েছেন। আলোর ঠিকানার আলো মানে দেবাদৃতা বসু তো দারুণ খুশি। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ালটা প্রথম যখন শুরু হয়,তখন একটু ভয় ছিল আমার আর জনের জুটি কেমন ভাবে নেবে! কিন্তু এখন সেই ভয় একদমই কেটে গেছে। দর্শক আমাদের এত ভালবাসছেন বলেই আমরা এতটা পথ আসতে পেরেছি। আশা করব দর্শক এইভাবেই আমাদের সঙ্গে থাকবে।’ সিরিয়ালের হিরো অভি মানে জন ভট্টাচার্যের গলাতেও একই তৃপ্তি ঝরে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘এতদিন একসঙ্গে কাজ করতে করতে আমরা একটা পরিবারের মত হয়ে গেছি। এই ঝগড়া হচ্ছে,আবার এই ভাব হয়ে যাচ্ছে, একটা পরিবারে যেমন হয় আর কী! আমরা তো চাইব এই সিরিয়াল হাজার এপিসোড পেরিয়ে যাক। দর্শক আমাদের এই ভাবেই যেন ভালবাসতে থাকে।’
সান বাংলার ‘আলোর ঠিকানা’-র গল্প আলোকে নিয়ে গড়ে উঠেছে। এখন আলো আর অভি বিয়ে করে জমিয়ে সংসার করছে। কিন্তু এরই মাঝে চলছে পরিবারে না না রকম ক্রাইসিস। আলো কি পারবে সেই সব সামলাতে? আগামী পর্বগুলোয় থাকছে বড়সড় ধামাকা। দেখতে হলে চোখ রাখুন সান বাংলায় রাত ৯ টায়।