বাংলা থেকে বাঙালি যতই দূরে থাক না কেন তার মধ্যে কার মাটির টানকে আলাদা করা যায় না।হিন্দি গানের পাশাপাশি বাংলা ছবির গানও বাপ্পি লাহিড়ীকে সমান জনপ্রিয়তা দিয়েছিল। ‘অমর সঙ্গী” ছবির গান তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। ছবির নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে জানিয়েছেন কিভাবে একের পর এক বাপ্পি লাহিড়ী তাঁর ছবিতে গান গেয়েছেন এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। এমনকি প্রসেনজিৎ অভিনীত হিন্দি ছবিতেও বাপ্পি লাহিড়ী সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন। স্মৃতি রোমন্থন করে প্রসেনজিৎ বলেন অসংখ্য হিট বাংলা গান দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।বাংলা ছবির গান ছাড়াও অসংখ্য আধুনিক বাংলা গান তিনি কম্পোজ করেছিলেন। যেগুলো আশা ভোঁসলে সহ বিভিন্ন শিল্পীদের কন্ঠে অমরত্ব পেয়েছে।’ঝিন তাক তাক’ গানই ছিল প্রসেনজিৎ-বাপ্পির শেষ জুটি।
এছাড়াও অসংখ্য বাংলা ছবিতে হিট গান দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। এরমধ্যে ‘উরি উরি বাবা…’, ‘বলছি তোমার কানে কানে..’, ‘এ আমার গুরুদক্ষিণা..’, র মত বহু গান বাঙালি মনে চিরদিনের জন্য জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়া বাপ্পি লাহিড়ীর বাংলা গানের অসংখ্য সংকলন যা তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। ‘মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে’, ‘এ জীবনে পেয়েছি’, ‘জীবনের এতোগুলো দিন’,’যে প্রেম প্রেম’, ‘ইমন বলো বসন্ত বলো’, ‘তোমাকে লাগছে ভারি’, ‘হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ’ এমন সব অসাধারন সুপারহিট বাংলা গানের স্রষ্টা ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। প্রসঙ্গত, গত বছর দুর্গাপুজোয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিল বাপ্পিদা। অ্যালবামের নাম ‘ফুলমতি’। ‘বাপ্পিদা’ মানেই শ্রোতাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। তাঁর সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন ঋতুপর্ণা। প্রথমবার গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। পুজোর অ্যালবামে বাপ্পিদার সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য বেজায় উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। দরাজ মনের অধিকারী বাপ্পি লাহিড়ী বলেছিলেন, এতদিন ঋতুপর্ণাকে সকলে অভিনেত্রী হিসেবে জানতেন এখন গায়িকা হিসেবে তাঁর পরিচিতি হবে।
MUSIC DIRECTOR SINGER