ওকাম্পোর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,এই বিষয়ে ছবি করেছেন আর্জেন্টিনার পরিচালক পাবলো সিজার ।নাম ‘ থিঙ্কিং অফ হিম’ ।ইন্দো আর্জেন্টিনার যুগ্ম প্রযোজনার এই ছবি দেখিয়েই শেষ হবে গোয়ায় আয়োজিত ৪৮ তম ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ।
এই ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ভিক্টর বন্দোপাধ্যায়। ওকাম্পোর চরিত্রে রয়েছেন আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী এলিওনোরা ওয়েক্সলার। এছাড়াও রয়েছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন।কবিতা লেখা ও আদর্শে প্রভাবিত হয়েছিলেন ওকাম্পো। তাঁর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ উঠে এসেছে এই ছবিতে। আর্জেন্টিনায় থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেই সময় তাঁর দেখাশোনার ভার নিয়ে ছিলেন ওকাম্পো। এই সময় বেশকিছু কবিতা লেখেন রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী সময়ে একটি কবিতার বই প্রকাশ করেন ‘পূরবী’ নামে। কবিগুরু এই বই উৎসর্গ করেন ওকাম্পোকে।
কবিগুরুর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি র অনুবাদ পড়েছিলেন ওকাম্পো। তাঁর ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ উঠে এসেছে এই ছবিতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ডাকতেন ‘বিজয়া’ নামে। কিন্তু বিজয়া তাঁর আসল নাম ছিল না। নাম ছিল তাঁর ভিক্টোরিয়া। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো। আর্জেন্টিনার এক নারীবাদী লেখিকা এবং বিগত ত্রিশের দশক থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করা ‘সুর’ নামের এক প্রগতিশীল পত্রিকার সম্পাদিকা। ধারণা করা হয়, রবীন্দ্রনাথের সাথে এক ‘রহস্যময়’ প্লেটোনিক ধরণের রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল তাঁর। রবিঠাকুরের একেবারে শেষ বয়সের প্রেম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স তখন ৬৩। আর ওকাম্পোর ৩৪।
পরিচালক পাবলো সিজারের ‘থিঙ্কিং অফ হিম’ ছবিতে বর্তমান সময় ও ১৯২৪ সালের সময়কে ধরা হয়েছে। ১৯২৪ সালেই ওকাম্পোর সঙ্গে দেখা হয় রবীন্দ্রনাথের।
প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথের চরিত্রের জন্য আগে নাসিরুদ্দিন সাহ ও অমিতাভ বচ্চন ভাবা হয়েছিল কিন্ত পরিচালক পাবলো সিজার ভিক্টর বন্দোপাধ্যায়কেই মনোনীত করেন। এই ছবির মাধ্যমে আবার আন্তর্জাতিক আঙিনায় উঠে এলেন বাঙালি অভিনেতা ভিক্টর বন্দোপাধ্যায়। ছবিটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এখন দেখানো হচ্ছে। গোয়াতে আয়োজিত ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে এই ছবি দেখিয়েই সমাপ্ত হবে চলচ্চিত্র উৎসব।