ক্রিসমাস উইকেন্ডে বক্সঅফিসে আশানুরুপ ফল করল না রণভীর সিং অভিনীত ‘৮৩’।ছবি পছন্দ করেছেন দর্শক-সমালোচকরা।সোশ্যাল সাইটে দর্শকদের অসংখ্য রিভিউতে ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।বলিউডের অন্যান্য স্পোর্টস ফিল্মের তুলনায় কবীর খানের ‘৮৩’ যে একেবারেই অন্য ঘরানার ছবি, তা এক কথায় মেনে নিয়েছেন সমালোচকরা।তা স্বত্বেও ফার্স্ট উইকেন্ডে পঞ্চাশ কোটির গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ ১৯৮৩র বিশ্বকাপ জয়ের গল্প ‘৮৩’।শুক্রবার মুক্তির দিন ‘৮৩’-র রোজগার ছিল প্রায় সাড়ে ১২ কোটির মতো।শনিবার ছবির রোজগার একটু হলেও বেড়েছিল। ক্রিসমাসের দিনে ছবির বক্সঅফিস কালেকশন ১৭ কোটির সামান্য কম।দুইদিন মিলিয়ে ছবির রোজগার ছিল প্রায় ৩০ কোটির মতো।ক্রিসমাসের ছুটির মরসুমে রবিবার ছবি আরও ভালো ব্যবসা করবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল প্রযোজকদের।তবে রবিবারও ‘৮৩’-র বক্সঅফিস কালেকশন বিরাট আশাজনক নয়।রবিবার মাত্র ১৭কোটির একটু বেশি অঙ্কের ব্যবসা করেছে ছবি।
সবমিলিয়ে ফার্স্ট উইকেন্ডে ‘৮৩’-র রোজগার ৪৭ কোটির থেকে একটু বেশি।যা সলমন খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ কিংবা আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর চেয়ে অনেক কম।কিন্তু কেন বক্সঅফিসে আশানুরুপ ফল করল না ‘৮৩’।অনেক বিশেষজ্ঞ ছবির ভালো ফলের জন্য করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনকে দায়ি করলেও,কেউ কেউ বলছেন অন্যান্য ছবির থেকে ‘৮৩’-র টিকিটের মূল্য নাকি অনেকটাই বেশি।
পাশাপাশি অনেকেই ভাবছেন কিছুদিন অপেক্ষা করলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিনামূল্যেই ‘৮৩’ দেখার সুযোগ পাবেন তাঁরা।সেই কারণে বড়পর্দায় ১৯৮৩র বিশ্বকাপ জয়ের গল্প দেখায় অনীহা দেখাচ্ছেন অনেকে সিনেপ্রেমীই।তবে চলচ্চিত্র সমালোচকরা বলছেন ৮৩ বড়পর্দায় দেখে উপভোগ করার মতো ছবি।রণভীর সিংয়ের ৮৩ কতদিনে ১০০কোটি ক্লাবে প্রবেশ করে এথন সেটাই দেখার।