বীরভূম: ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে দুই তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন হন। স্থানীয় সূত্রের, গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই মৃত্যু হয় লাল্টু শেখ (Laltu Shaikh) এবং নিউটন শেখ (Newton Sheikh) নামে ওই দুই কর্মীর। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের নিদেশ দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (Firhad Hakim) হাকিম। মঙ্গলবার হাতিবাঁধ মোড়ে ওই দুই কর্মীর স্মৃতির উদ্দেশে এক সভা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীদের প্রাণ মগের মুলুক নয়। ওই ঘটনায় ১২ জনকে ধরা হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাকি সবাইকে ধরতে হবে পুলিশকে। আমরা শহিদের পরিবারের পাশে থেকে লড়াই করব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সঙ্গে টিকে থাকতে না পেরে রাজ্য জুড়ে অশান্তির সৃষ্টি করছে।
বীরভূমে গত কয়েকমাস ধরেই তৃণমূলের মধ্যে তুমুল গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চলছে। জেলার বেশ কিছু ব্লকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। প্রায় রোজই জেলার কোথাও না কোথাও পুলিশ বোমা উদ্ধার করছে। বোমা বিস্ফোরণে পার্টি অফিস উড়ে গিয়েছে, দলীয় কর্মীর প্রাণ চলে গিয়েছে, এমন ঘটনাও বিরল নয়। গত বছরের ২১ মার্চ বগটুইয়ের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর পাল্টা হামলা এবং অগ্নিসংযোগে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এর পিছনেও তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বই কাজ করেছে। ঘটনার পর বগটুইয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সমস্ত বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরেও গত একবছর ধরে বীরভূমে অশান্তি কমার কোনও যখন দেখা যায়নি। প্রায়ই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বোমা এবং অস্ত্রশস্ত্র।
আরও পড়ুন: Kaliyaganj: ফের উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ, দাউদাউ করে জ্বলছে থানা
এদিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মোটা বলে কটাক্ষ করেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই মোটা লোকটা সিউড়িতে এসে বলেছেন এবার লোকসভা ভোটে নাকি বিজেপি এই রাজ্যে ৩৫ টি আসন পাবে! বুদ্ধবাবুও বলেছিলেন, তোমরা ৩০, আমরা ২৩৫। তাঁরা এখন ফিনিশ। ববির কথায়, বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্যে সেটিং চলছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে কাউকে বোকা বানানো যায় না। দরকারে আমাকে মারো। গরিবদের না। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূমেরে সাংসদ শতাব্দী রায়, রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ জেলা ও স্থানীয় স্তরের নেতারা।