বাঁকুড়া: শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। বিষ্ণুপুর পুরসভায় দীর্ঘদিন পুরপ্রধান ও প্রশাসক হিসাবে ছিলেন তিনি।
গতকাল রাত থেকে বুকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। সোমবার সকালেই বিষ্ণুপুর থানা থেকে প্রাক্তন মন্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে ইমারজেন্সিতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালের বহির্বিভাগে।
সেখানে জেনারেল ফিজিশিয়ানকে দেখানোর পর ফের বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে আসা হয় শ্যামাপ্রসাদকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন মন্ত্রীর হাই প্রেসার এবং বুকে ব্যাথা রয়েছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই ফের তাঁকে নিয়ে আসা হয় বিষ্ণুপুর থানায়।
আরও পড়ুন: ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
পুরসভার প্রশাসক ও পুরপ্রধান থাকাকালীন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে তিনি ১০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানান বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফ্রতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বিষ্ণুপুর বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়ে পরিবর্তনের সরকারের আবাসন বিভাগের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে আবাসন দফতর থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী হিসাবে। ফের ওই দফতর থেকে সরিয়ে বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় শ্যামাপ্রসাদকে। একদিকে মন্ত্রী অন্যদিকে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়াতেই গ্রেফতার শ্যামাপ্রসাদ, দাবি দিলীপের
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর বিধানসভা থেকে হেরে যান তিনি৷ বিষ্ণুপুর পুরসভার দায়িত্বে বহাল থেকে যান তিনি। ২০২০ সালে পুরসভার মেয়াদ শেষ হবার পরেও তিনি বিষ্ণুপুর পুরসভার পুর প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে পুরসভার পুর প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ২০২০-র ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।