ধূপগুড়ি : কুয়াশায় মুখ ঢাকল উত্তর। শুক্রবার সকালে ঘুম ভাঙতেই শীতের সেই চেনা ছবি। জাতীয় সড়কের রাস্তায় দূরে থাকা কোনও কিছুই দেখা যাচ্ছে না খালি চোখে। তাপমাত্রা কম থাকায় সমস্ত গাড়িকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়েছে। বৃষ্টি থামার পর ডুয়ার্সের পারদ অনেকটাই নিম্নমুখী।
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় শীত ঢুকতে দেরি। বৃষ্টি থামতেই ডুয়ার্সে কুয়াশার দাপট। ভোর থেকেই ধূপগুড়ি সহ ডুয়ার্সের জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক ঢেকেছে কুয়াশার চাদরে। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া বইছে। যেন শীত পড়েছে। আরও আগেই শীত পড়ার কথা কিন্তু আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় শীত ঢুকল দেরিতে। স্থানীয়রা জানান, ভারী বস্ত্র ও শীতবস্ত্র নামানোর সময় এসেই গিয়েছে।
আরও পড়ুন : বঙ্গে বিদায় বর্ষার, আজ রাত থেকেই শীতের আমেজ উপভোগ করবে শহরবাসী
একটানা প্রবল বৃষ্টিতে রীতিমতো বিপর্যস্ত পাহাড়। সব থেকে খারাপ অবস্থা মিরিক ও কালিম্পংয়ের। পাশাপাশি তিস্তার জলস্তর বাড়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে বহু পরিবার। শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও তিস্তা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পাহাড়ে বৃষ্টি কমেছে। তবে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।