দুপুর ১.৩০: বেলা ১টা পর্যন্ত ভোটদানের হারে এগিয়ে রয়েছে গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্র। ভোটের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে খড়দহ। বেলা ১টা পর্যন্ত চার কেন্দ্রে ভোটের হার- শান্তিপুর: ৪৮.০২ শতাংশ, গোসাবা: ৫২.১৯ শতাংশ, দিনহাটা: ৪৭.৮৩ শতাংশ, খড়দহ: ৩৬.৭০ শতাংশ।
দুপুর ১২.১৫: ভুয়ো ভোটার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল খড়দহে। গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করলেন বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। বিজেপির অভিযোগ, শশীভূষণ জুনিয়র বেসিক স্কুলে বেশ কয়েকজন ভুয়ো ভোটার ভোট দিতে আসে। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, একজনকে তিনি ধরে ফেলেছেন।
সকাল ১১.৩০: সকাল ৯টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গোসাবায়। এখানে ভোট পড়েছে ৩৩.৮৭ শতাংশ। খড়দহে ভোট পড়েছে ২৩.৬০ শতাংশ। কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে ২৮.৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। শান্তিপুরে সকাল ১১টা অবধি ভোট দিয়েছেন ৩২.৩১ শতাংশ ভোটার।
সকাল ১০.৩০: খড়দহ স্টেশন রোডে আক্রান্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। সিপিএমের অভিযোগ, গাড়ি লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়। তন্ময় বলেন, কয়েক জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হোক।
সকাল ১০.১৫: দিনহাটার ২৯৬ নম্বর ভোটার ভয় দেখানোর অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে ভোট দিতে বলছেন। ভোটারদের হুমকি দেওয়া ছাড়াও ভয় দেখাচ্ছেন জওয়ানরা। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
সকাল ৯.৪৫: খড়দহের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় প্রতীক লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী। ১৯২ নং বুথের এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
সকাল ৯.১৫: সকাল ৯টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে শান্তিপুরে। এখানে ভোট পড়েছে ১৫.৪০ শতাংশ। খড়দহে ভোট পড়েছে ১১.৪০ শতাংশ। কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্রে ১১.১২ শতাংশ ভোট পড়েছে। গোসাবা সকাল ৯টা অবধি ভোট দিয়েছেন ১০.৩৭ শতাংশ ভোটার।
সকাল ৯.০০: ভোট দিলেন দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। নাতি সায়নজিৎ গুহকে নিয়ে দিনহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি। উদয়ন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। বিজেপির প্রার্থীর যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন হলেও দাবি করেন তিনি।
সকাল ৮.৪৫: শান্তিপুর বিধানসভার গোবিন্দপুর মাহিষ্যপাড়ার ৪০ নম্বর বুথে কাজ করছে না ইভিএম। সকাল থেকে লাইন দিয়েও ভোট না দিতে পারায় ক্ষুব্ধ ভোটাররা। দ্রুত ইভিএম পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে কমিশন।
সকাল ৮.৩০: তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শোভন। তৃণমূলের অভিযোগ, খড়দহের কল্যাণ নগর বিদ্যাপীঠে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে ‘বাধা’ দেয় বাহিনী।
বাংলার চার কেন্দ্রে (শান্তিপুর, খড়দহ, দিনহাটা, গোসাবা) আজ, শনিবার উপনির্বাচন চলছে। শান্তিপুর কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩৫৫। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৩। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২০ শতাংশ। এই কেন্দ্রে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ রাজ্য পুলিশ রয়েছে৷
খড়দহ কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩৩৫, পোলিং স্টেশন ১৬৬, মোতায়েন করা হয়েছে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৪৮। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৬ হাজার ১৪৪ এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৭।
আরও পড়ুন: আজ চার কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে নজর থাকুক কলকাতা টিভি ডিজিটালে
দিনহাটা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৪১৭। ২০৯টি বুথে থাকছে সিসিটিভির ব্যবস্থা রয়েছে। স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৫১টি। ২৭ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ১৩৬ জন অফিসার সহ মোট ৯০৩ জন রাজ্য পুলিশ কর্মী রয়েছেন। ভোট কর্মী ১৬৬৮ জন।
গোসাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৮ জন। মোট বুথের সংখ্যা ৩৩০। প্রতিটি বুথে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও একজন করে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মোট ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।