গোসাবা: ভোটের আগেই দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছিল মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় সরকার। যার জেরে যে কোনওধরনের প্রশাসনিক সহযোগিতা পেয়ে উপকৃত হয়েছিল রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ। এবার সেই পরিকল্পনাকেই ভ্যাকসিন পরিষেবার ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করল রাজ্য সরকার। সোমবার সুন্দরবনের বঙ্গপোসাগরে তীরবর্তী দ্বীপ গোসাবা ব্লকের থেকেই চালু হল ‘ভ্যাকসিন অন বোট’ কর্মসূচি। এই কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জেলাশাসক পি উল্গানাথন। সোমবার দুপুরে কুমিরমারি দ্বীপে এই ভ্যাকসিন অন বোট উদ্বোধন করেন তিনি।
এই লঞ্চে চেপে স্বাস্থ্যকর্মীরা গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন দ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাবেন। স্থানীও প্রশাসন সূত্রে খবর একেক দিন একেক দ্বীপে ঘুরবে লঞ্চ। সুন্দরবনের দ্বীপ কুমিরমারি বালি, চন্ডিপুর কচুখালি, সাতজেলিয়া, ছোটোমোল্লা, রাধানগর-তারানগর, মৌসুনি, ঘোড়ামারা জি- প্লট, কে-প্লটের মতো মোট ১২ টি একেক দিন এই লঞ্চ ঘুরে বেরাবে। মৌসুনি, ঘোড়ামারা জি- প্লট, কে-প্লটের মতো দ্বীপগুলির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি লঞ্চ। বাকি দ্বীপ গুলির জন্য থাকছে আরেকটি লঞ্চ। ওই সমস্ত এলাকার মানুষ যারা এখনও ভ্যাকসিন নিতে পারেননি, তাঁদেরকে সরকারি নির্দেশিকা মেনেই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে গোসাবা ব্লক প্রশাসন। ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের নাম রেজিস্ট্রেশন করা হবে কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমেই। করোনাবিধি মেনেই প্রতিটি বোটেই উপস্থিত থাকবেন সাতজন করে স্বাস্থ্যকর্মী। থাকবেন চিকিতসকেরাও। গোট ভ্যাকসিনেশান প্রক্রিয়াটিতেই নজর রাখবে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিন এই ‘ভ্যাকসিন অন বোট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ প্রতিমা মন্ডল এবং জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। ছিলেন রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরাও।
সংসদ প্রতিমা মন্ডল বলেন, ‘’এই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম। তাই এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভ্যাকসিনেশানের জন্য এই বোটের মাধ্যমে এই প্রয়াস নিল রাজ্য সরকার।‘’ সুন্দরবনের গোটা দ্বীপ এলাকাকেই করোনমুক্ত করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক পি উল্গানাথন।
দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মতো এই ‘ভ্যাকসিনেশান অন বোট’ প্রকল্প কতটা সফল হয় সেটাই দেখার।