দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তারই মধ্যে আবার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব। করোনা নিয়ে যেমন উদ্বেগ বাড়ছে তেমনই প্রত্যেকেই চিন্তিত সঠিক সময়ে ভ্যাকসিনেশন নিয়েও। বুধবার ভোরবেলা থেকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার লম্বা লাইন পড়েছিল অন্ডাল ব্লকের খাঁদরা বিশ্বেশ্বরী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারলেন না অনেক গ্রামবাসী । ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উখরা খাঁদরা বিশ্বেশ্বরী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
ভ্যাকসিন নিতে আসা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে মাইকিং করা হয়েছিল এলাকায় যে বুধবার ভ্যাকসিনেশানের জন্য নাম নথিভুক্ত করা হবে। সেইজন্যই ভোর চারটে থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে নাম লিখিয়ে ভ্যাকসিন নেবার জন্য ভিড় করেছিলেন এলাকার প্রচুর মানুষ।
আরও পড়ুন: বালি পাচারে নিয়ে বিজেপি-জেলা পরিষদ তরজা পুরুলিয়ায়
বুধবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে হাজির হন প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী। যদিও তাদের মধ্যে বারোশো জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাকি আটশো জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়নি। যার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, নথিভূক্ত তালিকা থেকে প্রতিদিনই ৫০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। আজকে বারোশো জনের বেশি নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব ছিল না বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে নথিভুক্তদের ভ্যাকসিন দিতে গিয়েও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। বহুলা এলাকার ভ্যাকসিন নিতে আসা রাহুল নুনিয়া অভিযোগ, তিনি ভোর তিনটে থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম লিখিয়েছিলেন ভ্যাকসিন নেবার জন্য । প্রথমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল নাম নথিভুক্ত করাতে হবে ।তাই ভোর ভোর তিনি এসে নাম লিখিয়েছিলেন কিন্তু বেলা বাড়তেই হঠাৎ করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে জানানো হয় লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে । এরপরই পড়ে যায় হুড়োহুড়ি।স্বাস্থ্যকেন্দ্রের লাইনের কোনও ব্যবস্থা নেই এমনটাই অভিযোগ । দীর্ঘসময়ের ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক বৃদ্ধ গ্রামবাসী। ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: বাবাকে ঘুম থেকে তুলে পিটিয়ে মারল ছেলে
গোটা প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ইতিবাচক ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। সেইসঙ্গে করণা পরিস্থিতিতে এই ধরনের ভিড়ে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরাযদিও এই অনিয়মের ব্যাপারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।