কলকাতা: সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বাহিনীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে রাজ্য বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক জলঘোলা হতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত। বছরের পর বছর ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে সীমান্ত জুড়ে গরু-সহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার হয়। বিশেষত গরু পাচারের বিষয়টি বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা। সম্প্রতি কেন্দ্র বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি করেছে, যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তার মতো বিষয়ে বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের উপস্থিতি সন্দেহ বাড়িয়ে তুলেছে তৃণমূল-সহ অন্য দলগুলির মধ্যে।
বিজেপি বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণের ছড়ি হাতে নিতে চাইছে বিজেপি। বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির পর এরিয়া ডোমিনেশনের নামে বাহিনীকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের মতলব আঁটছে বিজেপি।
বিধানসভা ভোটের পরে বৃহস্পতিবার প্রথমবার বনগাঁয় পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুদিনের সফরে একাধিক কর্মসূচী রয়েছে শাহ-র। কখনও বিজেপির নেতা হিসেবে। কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে। বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি, রাজ্যে বেশ কিছু খুনজখমের ঘটনা সামনে আসছে, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজ্য বিজেপি নেতারা যখন একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, তখন বিজেপি নেতা অমিত শাহের সফর রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- Sand Theft: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই তিস্তায় চলছে অবাধে বালি তোলা, নির্বিকার প্রশাসন
সফরের প্রথম দিনে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফের ৩টি অত্যাধুনিক ভাসমান আউটপোস্ট উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার জন্য বোট অ্যাম্বুল্যান্সেরও উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এছাড়াও কালিন্দী নদীর উপর নর্মদা ও শতদ্রু নামে দুটি ভাসমান ও আরও একটি বিএসএফ ছাউনি উদ্বোধন করেন। তারপর শিলিগুড়ি পৌঁছবেন শাহ।