মালদহ : আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ভর্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। যত জন ভর্তির জন্য আবেদন জানিয়েছেন, তত আসন নেই। এই সমস্যার সমাধান করতে শুক্রবার স্মারকপত্র দেওয়ার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে বামনগোলা ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে ছাত্রভর্তি সমস্যার সমাধান মেটাতে এই স্মারকপত্র দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায়, সংগঠনের বামনগোলা ব্লক সভাপতি টোটন দাস সহ অন্যান্যরা। সমস্যা সমাধানে কলেজ কর্তৃপক্ষকে আসন বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে এই স্মারকপত্র দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন বামনগোলা মোড় থেকে একটি মিছিল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। এই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বহু পড়ুয়া যাঁরা পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের ভর্তি হতে পারেননি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পরেশনাথ দাসের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকপত্র তুলে দেয় ছাত্র পরিষদ।
আরও পড়ুন : মালদহে জালনোট-সহ গ্রেফতার সপ্তম শ্রেণির কৃতি ছাত্র
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপশিলি জাতি এবং উপজাতির অন্তর্ভুক্ত বামনগোলা এলাকার পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজের অনার্স এবং পাসকোর্স মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ১৫০০। কলেজে শুধুমাত্র কলা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু এই কলেজে ভর্তির আবেদন পড়েছে প্রায় ৪ হাজার। এরই মধ্যে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তির কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি আবেদনকারী পড়ুয়ারা কী ভাবে কলেজে ভর্তি হবে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই ব্লক থেকে মালদহ শহরের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। ফলে শহরের কলেজে গিয়ে ভর্তি হওয়া এবং দৈনিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
আরও পড়ুন : মালদহে শক্তিক্ষয় বিজেপির, তৃণমূলের দখলে বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রসূন রায় জানিয়েছেন, “আদিবাসী অন্তর্ভুক্ত এই কলেজে কর্তৃপক্ষকে স্মারকপত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে আবেদনকারী প্রত্যেকটি পড়ুয়া কলেজে পড়ার সুযোগ পান।” এদিন স্মারকপত্র তুলে দেওয়ার সঙ্গে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বিষয়ে জানানো হয় কলেজ কর্তৃপক্ষকে। অধ্যক্ষ ড. পরেশনাথ দাসের বক্তব্য, “নির্দিষ্ট আসনের থেকেও ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনপত্র অনেক বেশি জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে আদিবাসী অন্তর্ভুক্ত এই কলেজে এলাকার পড়ুয়াদের ভর্তির সমস্যা হয়েছে। এই কলেজে কমপক্ষে এক হাজার বাড়তি আসন বৃদ্ধি করার বিষয়ে এরই মধ্যে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরকে আমরা জানিয়েছি। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।”