খড়দহ : স্টিলের খাটটা তখনও আলুথালু ৷ সেখানে বসেই নাগাড়ে কথা গুলো বলে যাচ্ছে ৯-১০ বছরের ছেলেটা ৷
ঘরময় হাঁটু সমান জল ৷ তাই তো তাতে খাট থেকে নামতে নিষেধ করেছিল বাবা ৷ কিন্তু, বাবা যখন হঠাৎ করে কাঁপতে শুরু করেছিলেন, তখন কিচ্ছুটি বুঝে উঠতে পারেনি ছোট্ট চোখ দুটো ৷ শুধু দেখেছিল বেশ কিছু ক্ষণ বাবাকে একই জায়গায় আটকে থাকতে ৷ যা দেখে প্রথমে ছুটে গিয়েছিল মা, তার পর দাদা ৷ কিন্তু কেন তারা কথা বলছে না, সে-কথা বুঝে উঠতে পারছিল না ছোট্ট তিয়ান দাস ওরফে আবির ৷
তাই তো ছুটে গিয়েছিল পাশের ঘরে ৷ পাশের বাড়ির দাদুকে ডাকতে ৷ আবিরের কথা গুলো বুঝতে প্রথমে অসুবিধাই হয়েছিল তাদের ৷ অনেকটা কিছু না বুঝেই ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা ৷ ঘরে ঢুকেই দেখেছিলেন তিনটি দেহ ৷ রাজু দাস, পৌলোমী দাস, শুভ দাস ৷
কিন্তু, ঠিক কী করে ঘটল ঘটনাটা ?
প্রত্যক্ষদর্শী বলতে শুধু ছোট ছেলেটা ৷
ঘরে তখনও জল ৷ তখনও খাটের উপর চুপটি করে বসে রয়েছে বছর আটেকের ছেলেটা ৷ চোখে-মুখে একটা বিধ্বস্ত ভাব ৷ আদো আদো গলায় বলে চলেছে, আমার বাবা-মা-দাদা মারা গিয়েছে ৷
কথা গুলো বলার সময় চোখের কোণাটা চিক চিক করছিল ৷
চতুর্থ শ্রেণির ছেলেটা যেন প্রশ্ন করছিল, কী হবে তার আগামী দিনগুলো…