বারুইপুর: টোটো চালককে মাদক মেশানো চা খাইয়ে টাকা, মোবাইল এবং টোটো নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরে।
মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর উকিল পাড়ার বাসিন্দা বাপি রায়, তাঁর মুদির দোকানের জিনিসপত্র কিনবে বলে নিজের টোটো নিয়ে রওনা দেন। বারুইপুর স্টেশনের কাছে আসতেই দুই ব্যক্তি তাঁকে গোচরণ যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ৩০০ টাকায় রফা করে টোটো চালক বাপি ২ যাত্রীকে নিয়ে গোচরণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বারুইপুর গার্লস স্কুলের সামনে সাহাপাড়ায় একটি চায়ের দোকানে দুই যাত্রী চা খাওয়ার কথা বলেন। আর সেখান থেকে চা খাওয়ার পরে শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন টোটো চালক বাপি রায়। কিছুদূর যাওয়ার পরে টোটো চালককে সরিয়ে দিয়ে দুই যাত্রীর একজন টোটো চালাতে থাকে। এরপর আর কিছু মনে করতে পারছেন না টোটো চালক বাপি।
আরও পড়ুন : বারুইপুরে অভিনব হাতসাফাই, খোয়া গেল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা
দুপুর ১টা নাগাদ টোটো চালক বাপি রায়ের ছেলে বিশ্বজিৎ রায়ের কাছে খবর আসে যে, তাঁর বাবা অসুস্থ অবস্থায় জয়নগরের পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তড়িঘড়ি সেখান থেকে বাপিকে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের লোকজন জানতে পারে যে, জয়নগর থানার বাংলার মোড় থেকে মগরাহাটে যাওয়ার রাস্তায় কিছুটা ভিতরে ঢুকেই টোটো চালক বাপি রায়ের কাছে থাকা ৫০০০ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁকে টোটো থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়রা এবং মগরাহাট থানার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁকে সঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার সকালেও দেখা যায়, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন টোটো চালক বাপি রায়। এখনো তাঁর নেশার ঘোর কাটেনি। পরিবার ও টোটো চালকের আশঙ্কা, চায়ের সঙ্গে কোনও মাদক জাতীয় নেশার জিনিস মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা খাওয়ার পরে তিনি সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন। বাপি রায় ও তাঁর পরিবার চাইছেন, দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক এবং উদ্ধার হোক টোটো এবং চুরি যাওয়া ৫,০০০ টাকা ও মোবাইল। বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বাপি রায়ের পরিবার। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।