বাঁকুড়া: ডিজিট্যাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) ভয় দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারকরা (Fraudster)। বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিষ্ণুপুরের এই ঘটনায় এবার ওড়িশা থেকে আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করল পুলিশ। এর আগে গুজরাত ও তেলঙ্গানা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটে ১৭ জানুয়ারি। বিষ্ণুপুর শহরের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী শ্যামাপদ মণ্ডলের কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি নিজেকে মুম্বই কাস্টমসের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন এবং শ্যামাপদবাবুকে জানান যে তাঁর নামে অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকি তাঁকে ডিজিট্যালভাবে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: থানায় বিয়ের আসর বসালেন আইসি, কবজি ডুবিয়ে চলল খাওয়া-দাওয়া!
ভয় পেয়ে প্রতারকদের কথামতো নির্দিষ্ট একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ ২১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন শ্যামাপদবাবু। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ১৯ জানুয়ারি বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং প্রযুক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারণার চক্রের মূলপাণ্ডাদের শনাক্ত করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর গুজরাত ও তেলঙ্গানা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই সূত্র ধরে পুলিশ ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলার সাকমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুলু পটেল ও অভিষিক্ত মেহের নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণার টাকা প্রথমে গিয়েছিল কুলু পটেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। পরে এই টাকা তিনটি পৃথক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
দেখুন আরও খবর: