পুরুলিয়া: প্রচারের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও রাতের অন্ধকারে নির্বাচনী প্রচার করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
ঝালদা পুরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। কোনও দলই কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে পাঠানো হয়েছে সাময়িক ছুটিতে। তাঁর জায়গায় ঝালদার উপনির্বাচনের দায়িত্ব সামলাবেন সিআই পার্থরারথি সিং।
ইতিমধ্যেই এই উপনির্বাচনকে ঘিরে চূড়ান্ত প্রচারও সেরে ফেলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপি। তৎপর রয়েছে জেলা পুলিস ও প্রশাসন এই উপনির্বাচনে ঝালদায় মোতায়েন থাকবে তিনজন ডিএসপি পদমর্যাদার আফিসার, পাঁচজন ইন্সপেক্টর এবং এক হাজার ৪০০ পুলিসকর্মী। ঝালদা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে। সেখানে এক একটি বুথে মোতায়েন থাকবে একজন সাব ইন্সপেক্টর, ৪ জন বন্দুকধারী ও ৪ জন লাঠিধারী পুলিশ । ইতিমধ্যেই ভোট কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন নির্বাচন কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: রাহুলের ওয়েনাডের অফিসে ভাঙচুরে গ্রেফতার ১৯, দিল্লিতে প্রতিবাদ যুব কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভা দখলে রয়েছে তৃণমূলের। গত পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল পেয়েছিল পাঁচটি ওয়ার্ড, কংগ্রেস পেয়েছিল পাঁচটি এবং দুটি ওয়ার্ড দখল ছিল নির্দল প্রার্থীদের। পরে এক নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ঝালদা পুরবোর্ড দখল নেয় তৃণমূল। অন্যদিকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী হয় কংগ্রেস। সেই ওয়ার্ডেরই কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুন হন। রবিবার এই ওয়ার্ডেই উপনির্বাচন।