পুরুলিয়া: মোটা টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ(West Bengal Civic Polls) উঠল পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ও প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক শান্তিরাম মাহাতর বিরুদ্ধে।(Purulia TMC Own Clash) ভোটের মুখে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিমান সরকার এবং পুরুলিয়া শহর তৃণমূল যুব সভাপতি গৌরব সিং। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। তবে সৌমেন বেলথরিয়া এবং শান্তিরাম মাহাত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, সাহস থাকলে ওই দুই নেতা অভিযোগ প্রমাণ করে দেখান। হাওয়ায় অভিযোগ করে লাভ নেই।
শাসকদলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যা এখনও চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলায় জেলায় কোঅর্ডিনেটর বা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতেও বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বিদ্রোহ থামানো যায়নি। পুরুলিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই জেলা তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে দলেরই দুই নেতা হইচই ফেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া পুরসভায় তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে অনেকে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Corona India: দেশে আরও নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ, কমল মৃত্যুও
টিকিট নিয়ে পুরুলিয়াতেও তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে। পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট পেয়েও নির্বাচনে লড়তে না চেয়ে দলের কাছে লিখিত আবেদন করেন সত্য বাউরি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান বৈদ্যনাথ মণ্ডল। ১০, ১২, ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও একাধিক ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধরা মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। ১০ ওয়ার্ডের তৃণমূলের যুব সভাপতি গৌরব সিং বলেন, অন্যান্য দলের কাছ থেকে তৃণমূলের শিক্ষা নেওয়া উচিত। অন্যান্য দল যেভাবে যুবদের তালিকায় জায়গা দিয়েছে, তৃণমূল তা দেয়নি।
১২ ওয়ার্ডে তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতির্ময় ব্যানার্জির ওয়ার্ডে দুজন তৃণমূল কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক। অন্যজন প্রয়াত প্রাক্তন কাউন্সিলর সম্পু কর্মকারের স্ত্রী। এছাড়াও দুবারের কাউন্সিলর দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।