পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুক লোকসভার ৮টি বিধানসভার মধ্যে এ বারের নির্বাচনে তিনটি বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তিনটি আসনই দখল করেছে বিজেপি। তবে ভোট মিটতেই ভাঙন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির নেতা-কর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।
বিধানসভা নির্বাচনে আগে যে সব তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। তাঁরা যাতে সহজে দলে ফিরতে না পারেন, সেজন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে তৃণমূলের বৈঠকে।
দলীয় সংগঠনকে সক্রিয় করতে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রিক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সংগঠন ঢেলে সাজানোর দিকে নজর দিয়েছেন। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় তৃণমূলে হেরে, বিয়েতে সবুজ ফুলে মালাবদল অরবিন্দ মেননের
পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে দুটি সাংগাঠনিক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তমলুক ও কাঁথি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি সাংগঠনিক কমিটিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। শনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রিক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির বৈঠক হয়।
উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী, বিধায়ক সুকুমার দে সহ জেলা তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতারা।