বহরমপুর: প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটতে চলল। এখন পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Tmc leader Murdered) কান্দিতে তৃণমূল নেতা (TMC leader murdered in kandi) খুনের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। এফএইআরে (FIR) চার জনের নাম রয়েছে। তবে পুলিস সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। অবশ্য ওই ব্যক্তির নাম নেই এফআইআরে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের পরিণতিতেই এই খুন। যদিও টাউন তৃণমূল সভাপতি তরুণ ত্রিবেদীর দাবি, এর পিছনে রাজনীতি নেই, পারিবারিক বিবাদের কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন তৃণমূল নেতা নেপাল সাহা (TMC Leader Nepal Saha)।
তৃণমূল নেতা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। টাউন তৃণমূল সভাপতি ঘটনার পিছনে রাজনীতি না থাকার কথা বললেও উলটো সুর শোনা গিয়েছে নেপালের স্ত্রী যমুনা সাহা। তিনি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। যমুনার দাবি তাঁর স্বামীর খুনের পিছনে বিজেপির মদত রয়েছে। যমুনাই চারজনের নামে এফআইআর করেন।
আরও পড়ুন Tmc leader Murdered : কান্দিতে তৃণমূল নেতাকে গুলি, ধারালো অস্ত্রে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন
শুক্রবার রাত থেকেই কান্দির সন্তোষপুর গ্রাম থমথমে। শনিবার সকালে পুলিস ফের তদন্তে যায় ওই গ্রামে। পুলিস অফিসাররা মৃতের স্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে কান্দি থানার সন্তোষপুর গ্রামে দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নেপাল সাহা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নেপাল সাহা। তখনই তাঁর ওপর দুষ্কৃতী হামলা হয়। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলি লাগেনি তাঁর গায়ে। এরপরই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাগাতার কোপ মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নেপালের।
আরও পড়ুন TMC leader: তুফানগঞ্জে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন তৃণমূল কর্মী, আহত আরও ৯