জলপাইগুড়ি: এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। নির্বাচনের দুমাস কেটে গেলেও এখনও ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে। রবিবার সেইরকমই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জর সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতে।এদিন সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় ক্লাবে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি এমডি ফারুক, তৃণমূল নেতা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে খগেশ্বর রায় জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শামিল হওয়ার জন্য বিভিন্ন দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলো শতাধিক মানুষ, এর ফলে আগামী বছর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতে আরও শক্তিশালী হল।’
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সিংহভাগ আসনই গিয়েছে বিজেপির দখলে। যেখানে মোট ৫৪ টি আসনের মধেয় ২৯ টি আসন দখল করেছে গেরুয়া শিবির। যারমধ রয়েছে কোচবিহার থেকে কালিম্পং পর্যন্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আসন। যদিও জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির ও নাগরাকাটার মতো একাধিক আসন বিজেপি দখল করলেও রাজগঞ্জে নিজেদের ঘাঁটি অক্ষুন্ন রেখেছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে যেখানে গেরুয়া শিবিরের রমরমা তারমধ্যে রায়গঞ্জের পঞ্চায়েতে বিরোধী দলীয় কর্মীদর তৃণমূলে যোগদান যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
জলপাইগুড়ির মতোই রবিবার বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের কুশদ্বীপে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল ৫০০টি পরিবার। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। তৃণমূলের দাবি, প্রতিদিন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে তৃণমূলে যোগদান করছে। এই বিষয়ে বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।