জলপাইগুড়ি: গেরুয়া শিবিরে ফের ভাঙন৷ এবার জলপাইগুড়ির একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির৷ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির ৪ গ্রাম সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর উপস্থিতিতে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন৷ বিজেপি ছাড়াও সিপিএম, কংগ্রেস থেকেও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷
জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ১৩ সদস্যের৷ ৮ আসনে জিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করেছিল৷ বাকি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ২, সিপিএম ২ ও কংগ্রেসের ১ সদস্য ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে এ দিন বিজেপি থেকে ৪, সিপিএম থেকে ২ ও কংগ্রেসের ১জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ সব মিলিয়ে বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে৷ বিজেপির থেকে সদস্য সংখ্যা বেড়েছে তৃণমূলের৷
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কয়েকদিনের মধ্যে অনাস্থা আনা হবে৷ তারপরই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল৷ অন্য দিকে, বিজেপির অভিযোগ, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ভয় দেখানো হচ্ছে৷ বাধ্য হয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করছেন।
জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধী দল থেকে কেউ নির্বাচনে দাড়াতে চাইবে না। আগামীতে বিরোধীদলের দখলে থাকা সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির সদস্যরা আমাদের দলে আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ ধীরে ধীরে তাঁদের দলে যোগদান করানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি বর্তমান প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা না হবে বলে জানিয়েছেন মহুয়া গোপ।
জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অলক চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টানতে তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। কাজ করতে দিচ্ছে না। মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের অত্যাচার করা হচ্ছে৷ এ কারণেই বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা।