শাসন: শাসনের ঘটনায় অভিযুক্তদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় যুক্ত হিসাবে চারজনকে গ্রেফতার করে শাসন থানার পুলিস। শনিবার ইয়ামিন মন্ডল, দিলীপ ঘোষ, রবিন ঘোষ ও পঞ্চানন মন্ডলকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
যদিও ইয়ামিন মণ্ডলের পরিবারের দাবি, পুরনো এক খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল তারা। সেই মামলায় খালাস হওয়ার পরে চেষ্টা করেও তারা গ্রামে ঢুকতে পারেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বাধায়। এরপর হাইকোর্ট তাদের গ্রামে প্রবেশের নির্দেশ দেয়। পরিবারের আরও দাবি, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি নেতৃত্বে এলাকায় ফের বোমাবাজি চলে তাঁদের গ্রামে ঢোকা বন্ধ করার জন্য। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মোতালেব গোষ্ঠীর অনুগামীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিল না বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন: Howrah Murder: হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাটে থেঁতলে খুন যুবককে
এদের আরও দাবি, ২০০৯ সালে তৎকালীন শাসকদল সিপিএমের হাত থেকে শাসনকে তৃণমূলের হাতে তুলে দিতে এরাই ছিল মূল কান্ডারি। পুনরায় তারা এলাকায় ফিরে আসলে যদি বিরোধী রাজনৈতিক দলের উত্থান হয় সে কারণেই বোমাবাজি করে তাদের ফাঁসানো হয়েছে। সঠিক বিচারের দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বারাসত ব্লক ২ শাসন এলাকায় বোমাবাজি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকা থেকে কিছু তাজা বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও গ্রেফতার হবে বলে জানান, বারাসত জেলা পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখার্জি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও যোগাযোগ নেই। এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান রাজনারায়ণ মুখার্জি।