কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ২০২১-এ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বনগাঁ দক্ষিণ থেকে লড়েছিলেন আলোরানি সরকার। তবে বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে হেরে যান তিনি। সেই নির্বাচনী ফলকে চ্যালেঞ্জ করতেই বিপাকে পড়লেন তিনি। আলোরানি সরকার। তৃণমূলের প্রাক্তন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। কিন্তু এই ‘আলো’র অন্ধকারে রয়েছে অনেক কাহিনী। কে এই আলোরানি সরকার(Alo Rani Sarkar) ?
১৯৬৯ সালে হুগলির বৈদ্যবাটিতে তাঁর জন্ম। মাত্র ১১ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের ডাক্তার হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় আলোরানির। বিয়ের পর পাকাপাকিভাবে বরিশালের উজিরপুরেই থাকতেন তিনি। বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র মেলে আলোরানির।
তবে এখন অবশ্য পশ্চিমবঙ্গেই থাকেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার তুস্তুবাবু রোড এলাকায় থাকছেন তিনি। এরপরই রাজনীতির ময়দানে নামেন তিনি। তৃণমূলের হয়ে ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণের প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদেও তাঁর জায়গা হয়। তবে সেই পদে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি তাঁর। পুরভোটে টাকা নিয়ে দলের প্রার্থী করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: TMC Candidate: ভোটের পর হাইকোর্টেও হার আলোরানির, বনগাঁর তৃনমূল প্রার্থী বাংলাদেশেরই
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে তাঁর কেন্দ্র থেকে হেরে যাওয়ায় মানতে পারেননি তিনি। নির্বাচনের ফলকে চ্যালে়ঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এমনকী প্রতিদ্বন্দ্বী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে দায়ের করেন ইলেকশন কমিশন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ে। আদালতের রায়ে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাঁর নাম রয়েছে। আদালতের প্রশ্ন, কীভাবে তিনি গোপন করে এই দেশের প্যান কার্ড, পাসপোর্ট-সহ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড পেলেন। তৃণমূলের উদ্দেশেও বিচারপতির প্রশ্ন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল কীভাবে তাঁকে প্রার্থী করল।