হাড়োয়া: জমি বিবাদের জেরে খুন হাড়োয়ার (Haroa) তৃণমূল (TMC) কর্মী। মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের অভিযোগ, জমি বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। ঘটনায় গ্রেফতার এক। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায়। মৃতের নাম পরিতোষ মণ্ডল। জমি বিবাদের জেরে খুন স্বামী, দাবি মৃতের স্ত্রী ও পরিবারের। ঘটনায় গ্রেফতার এক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার হাড়োয়া থানার সোনাপুর সোনাপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, পরিতোষ মন্ডল (৫০) পেশায় একজন বাউল শিল্পী। পাশাপাশি পরিবারের দাবি, সক্রিয় তৃণমূল কর্মীও ছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রের খবর, রবিবারে গভীর রাত্তিরে শালীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পালিতপাড়ায় ফাঁকা মাঠে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পরিতোষের। আরও জখম হয়েছেন দু’জন। নারায়ন পালিত বলে জখম ব্যক্তি জানা গেছে কলকাতায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমার নমুনা এবং একটি কাটা আঙুল উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | ফের অশান্তি বাসন্তিতে
মৃত পরিতোষের স্ত্রী সুষমা মন্ডলের দাবি, গত তিন বছর আগে তার খুর শশুর ভাসান মন্ডল ও তার ছেলে স্বপন মন্ডল তাদের জমি ভিটেবাড়ি সহ দুই বিঘা জমির জোর করে লিখে নিয়েছে। তারপর থেকে গ্রাম ছাড়া খুর শশুর ও পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ছেড়ে এখনও যায়নি পরিতোষ ও তার স্ত্রী আর সেখান থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। জোরপূর্বক জমি লিখে নেয়ার পরেও ওই ভিটে বাড়িতে এখনও বসবাস করছিল পরিতোষ ও তার স্ত্রী সুষমা।
সুষমা দেবীরও দাবি, তারা জোরপূর্বক জমি লিখে নিয়েছে। তারা ভয়তে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু খুর শশুরের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছিল।বেশ কিছুদিন ধরে টার্গেটে রেখেছিল তার স্বামীকে। ভিটে বাড়িতে আমরা রয়েছি। বেশ কয়েকবার উঠে যেতে বলেছিল। না যাওয়ায় একাধিকবার মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল।
মৃতের মেয়ে পল্লবী মন্ডলের দাবি, বাবা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিল। কিন্তু কোন রাজনৈতিক শত্রুতা ছিল না। জমি সংক্রান্ত বিবাদ এর জেরে ছোট দাদুর ও তার পরিবার আমার বাবাকে হয়তো পরিকল্পনা করে মারতে পারে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমার বাবা সৎ মানুষ ছিল। গান-বাজনা করে বেড়াতো কোন শত্রু ছিল না। কেনই বা নিশংস ভাবে হত্যা করা হলো এর বিচার চাই।
গ্রামবাসীরা বলছেন পরিতোষের কোন শত্রু ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে জমি জায়গার বিবাদ ছিল। শরিকদের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল। সেটাও তদন্ত করে দেখুন পুলিশ।