বনগাঁ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা সাংগঠনিক সভা৷ উপস্থিত প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখায়ত৷ অথচ গরহাজির দলের নেতা থেকে বিধায়করা৷ এই ঘটনা বিজেপির অন্দরে সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ একসঙ্গে তিনজন বিধায়কের অনুপস্থিতি নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলেরও৷ যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ তাঁর কথায়, পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচির জন্য অনেকে হয়তো আসতে পারেননি৷
আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধ বাবুলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল
শনিবার বিকেলে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বনগাঁ জেলা অফিসে বৈঠক করেন গজেন্দ্র সিং শেখায়ত৷ উপস্থিত ছিলেন দলের কর্মকর্তারা৷ অথচ বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরকে বৈঠকে দেখা যায়নি৷ কেবল মুখরক্ষা করেছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার৷ বিধায়কদের মধ্যে একমাত্র তিনিই উপস্থিত ছিলেন৷ বিধায়কের পাশাপাশি বৈঠকে দেখা যায়নি দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও।
বিধানসভা ভোটের পর থেকে ছত্রভঙ্গ বঙ্গ বিজেপি৷ নানা ইস্যুতে অসন্তোষ ছড়াচ্ছে দলের নেতা, বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে৷ এমন পরিস্থিতিতে বনগাঁর সাংগঠনিক সভায় বিজেপির একাধিক বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ যদিও বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, তিনি ঘুরতে গিয়েছেন৷ তাই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি৷ বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷
আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে ‘অভিমানী’ বাবুল গৌরীপ্রসন্ন, হেমন্তেই ভরসা
সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় নেতাদের অনুপস্থিতি নিয়ে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের মন্তব্য, অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি থাকতে পারে৷ তবে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরকে নিয়ে মিটিং হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না তাই সিএএ চালু করা যাচ্ছে না৷ অপরদিকে বনগাঁ পুর প্রশাসক তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ জানান, বিজেপিতে আর কেউ থাকতে চাইছে না৷ তাঁরা এখন পালাতে চাইছেন৷ সিএএ এখানে চালু করা যাবে না৷