চোর নাকি এম এ পাস। তাও আবার ইংরেজি সাহিত্যে। তদন্তে নেমে চক্ষু ছানাবড়া পুলিশের। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাকরাইলে। একটি চুরির কিনারা করতে গিয়ে এমনই এক ব্যক্তির হদিশ পেল সাকরাইল থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সৌমাল্য চৌধুরী। সূত্রের খবর, আসানসোলের বাসিন্দা তিনি।
আরও পড়ুনঃ আসিফ কাণ্ডে নয়া মোড়, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
পুলিশ জানিয়েছে, গয়না চুরির ঘটনায় মূল পান্ডা সৌমাল্য চৌধুরী সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনার গয়না। তদন্তে উঠে আসে, সৌমাল্য চৌধুরী ইংরেজিতে এম এ পাস। কিন্তু চুরি করাই নাকি তার নেশা। চাকরি না পাওয়ায় এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেয় সে। আসানসোল, হাওড়া, হুগলি জেলায় কমপক্ষে কুড়িটি চুরির ঘটনায় সে যুক্ত। তার বাবা সরকারি অফিসার ছিলেন। মা ছিলেন শিক্ষিকা। ছেলের কু কীর্তির কথা জানতে পেরে তিনি আত্মঘাতী হন। এতেও শোধরায়নি সৌমাল্য।
আরও পড়ুনঃ রোগী আনতে গিয়ে হামলার শিকার অ্যাম্বুলেন্স চালক
চুরি করাকেই পাকাপাকিভাবে পেশা করে নেয়। একবার আসানসোল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। কয়েক মাসের জন্য জেল খেটে ছাড়া পায় সে। গত ৯ই জুন হাওড়ার সাকরাইল থানার অন্তর্গত দুইলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় দশ ভরি সোনার গহনা চুরি যায়। স্কুটি করে পালাবার সময় ফ্ল্যাটের এক আবাসিক স্কুটির নম্বর লিখে নেয়। এই নম্বরের সূত্র ধরেই পাঁশকুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী ও তার এক সাগরেদ প্রকাশ শাসমলকে। এরপর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাধব সামন্তকে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডি সি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাঁকরিয়া জানান, মাধব সামন্তকে চুরির মাল বিক্রি করেছিল এরা। হাওড়াতে বিভিন্ন এলাকায় নটি চুরি করেছে অভিযুক্তরা। এদের রবিবার হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবার আবেদন করেছে পুলিশ।