ধূপগুড়ি : করোনার সময় বহু স্কুল ও কলেজকে ব্যবহার করা হয়েছিল সেফ হোম হিসাবে। তারপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতে সেই সব স্কুল ও কলেজগুলি খুলে যায়। গত মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশ মতো রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ গুলি খুললেও ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেল ধূপগুড়ির গার্লস কলেজে। এই কলেজে সেফ হোম তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কলেজ খুলতেই দেখা গেল বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ক্লাসরুমগুলি।
দীর্ঘদিন সেফ হোম হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় বেহাল অবস্থা ধূপগুড়ির গার্লস কলেজের। ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে কলেজ চত্বর। কলেজের আসবাসপত্র ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। কলেজ কর্তৃপক্ষ আরও অভিযোগ জানিয়েছে যে, ১৬ নভেম্বর স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কলেজ খোলার একদিন আগে ১৫ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের হাতে চাবি দেয় ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। দেরি করে চাবি পাওয়ার জন্যই কলেজ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু কলেজের সেফহোম ছিল, এই কারণে কলেজের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চিকিৎসার সামগ্রী। কলেজের এই অবস্থা দেখে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় কলেজের কর্মীদের মধ্যে। এ বিষয়ে একাধিক দফতরে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। শেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের উদ্যোগে কলেজ পরিষ্কার করার কাজে হাত লাগিয়েছে। ১৬ তারিখ কলেজ খোলার কথা থাকলেও চারদিন পিছিয়ে ২০ তারিখ কলেজ খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। কলেজের এক কর্মী রাজু দত্ত জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে ধুপগুড়ি গার্লস কলেজে সেফহোম থাকায় কলেজের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন এই পরিস্থিতিতে কলেজে পঠনপাঠন করা সম্ভব নয়। কলেজের প্রিন্সিপালের উদ্যোগে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের ফান্ড দিয়ে কলেজ পরিষ্কার সহ বিভিন্ন মেরামতের কাজ করছে। কলেজ চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী। এই কারণে কলেজ ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা হবে। আশা করা যাচ্ছে কিছুটা দেরিতে হলেও এই কলেজের স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হবে। তবে এই ক্ষেত্রে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিৎ ছিল।