বসিরহাট: করোনা অতিমারীর(Ration card) জন্য দীর্ঘ লকডাউন। তার ওপরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিভিন্ন উস্কানিমূলক মন্তব্য। একটি রাজনৈতিক দল বলেছিল নো ফুড কার্ড। ১০, নম্বর ফর্মে সই না করলে এনআরসির আওতায় পড়তে হবে। তারপর থেকেই দীর্ঘ দুই বছর ধরে রেশন(Ration card) পাচ্ছেন না বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পুরসভার ১৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৫০ টি পরিবার ।
যে সময় রাজ্যের প্রতিটা মানুষ বিনামূল্যে রেশনের চাল গম আটা পাচ্ছেন। তখন এই অসহায় পরিবারগুলো দিন আনা দিন খাওয়া দৈনন্দিক জীবনে কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল। দু’বেলা ঠিকমতো খাবারও জোগাতে পারছিলেন না তাঁরা। এ কথা জানার পরই সংখ্যালঘু সেলের-সভাপতি রেহান আহমেদ খুরেশি বিষয়টা বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট পুরসভার পুর প্রশাসক অশীন মজুমদারকে জানান। তাঁদের সহযোগিতায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন Tiger: বাঘ ধরতে ‘শিকারি’ নামল
অবশেষে, রবিবার রাতে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রেশন কার্ডের প্রতিলিপি। এই কাগজ পাওয়ার পর মুখে হাসি ফোটে দুস্থ পরিবারগুলোর। এই বিষয়ে বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক জানান, করোনাকালে যখন বিনামূল্যে সবাই রেশন পাচ্ছেন, তখন কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দিয়েছিলেন তাঁরা। তারা রেশন কার্ডের ১০,নম্বর ফর্ম নো ফুড কার্ডে সই করেছিল। যে কারণে দীর্ঘ দু’বছর তাঁরা বিনামূল্যে কোনও রেশন পাননি। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকম সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন Jalpaiguri Elephants: বিন্নাগুড়ি ও বানারহাটের মাঝে আটকে চোদ্দটি হাতি, সতর্ক প্রশাসন
সাহায্য পেয়ে উপভোক্তা আকবর গাজি বলেন, ‘এনআরসি, এনআরসি করে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই বাধ্য হয়ে নো ফুড কার্ডে সই করেছিলাম। তার পর আমরা হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। খুব কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করতে হয়েছিল। অবশেষে রেশন কার্ড পেয়ে আমরা রীতিমতো আনন্দিত। ধন্যবাদ রাজ্য সরকারকে।’