পশ্চিম বর্ধমান : বিয়ের পর থেকে প্রায় দিনই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা লেগে থাকত স্বামীর। রবিবার রাতে বচসা চরমে উঠলে বাড়ির পোষা কুকুরের বেল্ট দিয়ে স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে খুন করে স্বামী। তারপর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা, অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার হিসেবে কাজ করবেন প্রধান শিক্ষিকা
অভিযুক্ত স্বামীর নাম বিপ্লব পরিয়াদ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বামুনাড়া এলাকায় একটি বহুতলে স্ত্রী ইপসার সঙ্গে থাকতেন তিনি। পেশায় একটি রাস্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছিলেন বিপ্লব। রবিবার রাতে মোটরবাইক চালিয়ে কাঁকসা থানাতে এসে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে বিপ্লব বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে এসেছেন। এরপর তাঁকে সঙ্গে করে নিয়েই পুলিশ তাঁর বাড়িতে যান। পুলিশ ঘরেতে প্রবেশ করেই মেঝের উপর ইপসার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিপ্লব জানান, তিনি ওড়িশার কটকের বাসীন্দা। ২০১৯ সালে কটকের বাসিন্দা ইপসার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কর্মসূত্রে তাঁরা পশ্চিম বর্ধমানের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেই থাকত তাঁদের মধ্যে। রবিবার বিপ্লবের স্ত্রী ইপসা তাঁর স্বামীকে এতোটাই উত্তেজিত করে তোলে যে সে তাঁর পোষা কুকুরের গলার বেল্ট দিয়ে তার স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করে। ইপসার একের পর এক চাহিদা ও তাঁর অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরেই তিনি নিজের হাতে স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে পুলিশকে জানান বিপ্লব। কাঁকসা থানার পক্ষ থেকে ইপসার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। ইপসার বাপের বাড়ির লোকজন এলে আরও কিছু তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশের অনুমান । যদিও খুনের মামলা ধরেই কাঁকসা থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।